ফিচার

বিশ্ব চিকিৎসক দিবস পালিত হয় কেন?

প্রতি বছরের মতো এবারও ৩০ মার্চ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে ‘চিকিৎসক দিবস’। মানুষের সেবা করার মতো মহৎ এই পেশাকে সম্মান জানাতে ১৯৩৩ সাল থেকে এই দিবস পালিত হচ্ছে। চিকিৎসক, সার্জনরা রোগীদের জন্য ২৪/৭ কাজ করেন। তাদের এই ত্যাগ এবং পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে দিনটি উদযাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৪২ সালের ৩০ মার্চ শল্য চিকিৎসায় প্রথম ইথার অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার করেছিলেন ডা. ক্রফোর্ড ডব্লিউ লং। ঘটনাটি স্মরণীয় করে রাখতে সেই দিনটিকেই তারা বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৩৩ সালের ৩০ মার্চ জর্জিয়ার উইন্ডার ব্যার কাউন্টি অ্যালায়েন্স দিবসটি প্রথম উদযাপন করে। চিকিৎসকদের সম্মান জানাতে এই দিনটি উৎসর্গ করার ধারণা দেন ডা. চার্লস বি অ্যালমন্ডের স্ত্রী ইউডোরা ব্রাউন অ্যালমন্ড।

Advertisement

চিকিৎসা সেবা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক হচ্ছে বিশ্ব চিকিৎসক দিবস এর অন্যতম উদ্দেশ্য।১৯৯০ সালে ৩০ অক্টোবর মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ (সিনিয়র) সেদেশে ৩০ মার্চকে জাতীয় ডাক্তার দিবস পালনের জন্য আইন পাস করেন। উদ্দেশ্য ছিল ডাক্তারি পেশাকে সম্মান জানানো। সেবা দিয়ে রোগীদের সারিয়ে তোলা এসব মহৎ মানুষদের কার্ড, ছোটো উপহার কিংবা সংবর্ধনা ইত্যাদি দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

আরও পড়ুন: যে কারণে পালিত হয় ‘সুখ দিবস’

তবে ৩০ মার্চ বিশ্ব চিকিৎসক দিবস হলেও বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশ বছরের বিভিন্ন দিনে জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালন করেন। তাদের দেশের একজন চিকিৎসককে উৎসর্গ করেন সেই দিনটিকে। স্পেন, কিউবা এবং আর্জেন্টিনায় ৩ ডিসেম্বর পালিত হয় চিকিৎসক দিবস। ডা. কার্লোস জুয়ান ফিনলের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হত দিনটি। তিনি মশাবাহিত ভাইরাস যে হলুদ জ্বরের কারণ সেটি আবিষ্কার করেছিলেন।

Advertisement

বাংলাদেশে জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালিত হয় ২৪ অক্টোবর। ভারতে এই দিনটি ১ জুলাই তারিখে কিংবদন্তি চিকিৎসক ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়ের সম্মানার্থে পালন করা হয়। ইরানে ২৩ অগাস্ট পালন করা হয় জাতীয় চিকিৎসক দিবস।

সূত্র: ন্যাশনাল টুডে

কেএসকে/এএসএম

Advertisement