পর্তুগালে একটি ইসলামিক সেন্টারে ছুরি হামলায় দুই নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। পুলিশের গুলিতে জখম হয়েছেন হামলাকারীও। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) লিসবনের ইসমাইলি মুসলিম সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে পুলিশকে ইসলামিক সেন্টারটিতে ডাকা হয়। সেখানে তারা একটি বড় ছুরি হাতে এক লোককে দেখতে পান।
তবে হামলাকারী কথা না শোনায় শেষপর্যন্ত তাকে গুলি করে পুলিশ। পরে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>> ফিলিস্তিনের পক্ষ নেওয়ায় রোনালদো রাজনীতির শিকার: এরদোয়ান
Advertisement
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামলায় ইসমাইলি সেন্টারের ৪৯ ও ২৪ বছর বয়সী দুই নারী কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে হামলার অন্য উদ্দেশ্যও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা নিহতদের পরিবার ও পর্তুগালের ইসমাইলি সম্প্রদায়ের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলার সময় এখনো আসেনি। তদন্তের ফলাফলের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন>> পর্তুগালে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে মসজিদ উদ্বোধন
Advertisement
তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে লুইস কার্নিরো বলেছেন, সব তথ্য-উপাত্ত নির্দেশ করছে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনা।
বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশ বলে মনে করা হয় পর্তুগালকে। সেখানে ইসলামবিদ্বেষী আক্রমণ বা উচ্চপর্যায়ের অপরাধের ঘটনা খুবই কম ঘটে।
ইসমাইলিদের আধ্যাত্মিক নেতা প্রিন্স করিম আগা খান ১৯৯৮ সালে লিসবনে ইসলামিক সেন্টারটি চালু করেন। এতে প্রদর্শনী স্থান, শ্রেণিকক্ষ ও প্রার্থনার জায়গা রয়েছে।
আরও পড়ুন>> প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ছে পর্তুগালে
ইসমাইলিরা ইসলামের শিয়া শাখার অন্তর্গত। প্রায় এক কোটি জনসংখ্যার দেশ পর্তুগালে সাত হাজারের কাছাকাছি ইসমাইলি বসবাস করেন। তাদের অনেকেই আফ্রিকান গৃহযুদ্ধের সময় সাবেক পর্তুগিজ উপনিবেশ মোজাম্বিক থেকে পর্তুগালে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরাকেএএ/