বাজারে চাহিদার পাশাপাশি দাম ভালো পাওয়ায় মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দাগনভূঞা উপজেলায় কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও কাঁচা মরিচের দাম তুলনামূলক ভালো পাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার কৃষকেরা।
Advertisement
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলায় এবার মরিচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪১ হেক্টর জমি। আবাদও হয়েছে ৪১ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাতশিরি গ্রামের কৃষক আবু ইউছুফ ও একরাম উদ্দিনের মরিচের প্লটে গিয়ে দেখা গেছে, তারা মরিচের জমিতে যত্ন ও মরিচ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
Advertisement
কৃষক আবু ইউসুফ ও একরাম উদ্দিন জানান, রমজান মাসে মরিচের চাহিদা থাকায় পাইকারি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। খুচরা বিক্রি করা করা হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা।
কৃষকরা বলছেন, এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে খরচ হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। মরিচ পাওয়া যায় ২৫-৩০ মণ। রমজানে বাজারে কাঁচা মরিচের ব্যাপক চাহিদা থাকে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় বারি ক্যাপসিকাম চাষে সফল কৃষকরা
Advertisement
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘রমজান মাসে মরিচের চাহিদা বাড়ে। তাই আগে থেকেই হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি বাজারে মরিচের চাহিদা পূরণ হবে। কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন।’
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসইউ/জেআইএম