অর্থনীতি

আমদানি পর্যায়ে আগাম কর প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই

আমদানি পর্যায়ে শিল্পখাতের প্রদেয় আয়কর এবং আগাম কর প্রত্যাহার চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল্য সংযোজন কর বা মূসক বিষয়ক প্রাক বাজেট সভায় এই প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই।

আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ে কারখানাগুলোকে সতর্ক করলো বিজিএমইএ

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ইনপুট ভ্যাট হিসেবে প্রদত্ত ১৫ শতাংশ, ৩ শতাংশ, ৪ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ মূসক সরবরাহের ক্ষেত্রে সমন্বয় যোগ্য গণ্য করার প্রস্তাব দেয় এফবিসিসিআই।

Advertisement

যেসব খাতে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে সংগঠনটি সেগুলো হলো-

নিম্ন আয় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যবহার্য্য পণ্য, সাধারণ পণ্য পরিবহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পের কাঁচামাল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রি-সাইক্লিং, টেন্ডার বহির্ভূত সরাসরি পণ্য মেরামত বা সার্ভিসিং খাত।

আরও পড়ুন: সাধারণ পরিষদ সদস্যদের সম্মানে এফবিসিসিআইয়ের ইফতার

এছাড়া নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত টার্নওভার করা একক বা সম্পর্কিত এন্টারপ্রাইজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) তালিকাভুক্ত করা এবং বৃহৎ করদাতা অঞ্চলে এলটিইউ স্থাপন করার প্রস্তাব দিয়েছে এফবিসিসিআই।

Advertisement

অন্যদিকে আউটপুট ভ্যাট থেকে ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করার সুবিধাসহ পণ্য ও পরিসেবার লেনদেনের ওপর মূসক ১৫ শতাংশ করা, রিয়েল স্টেট, লোহা ও ইস্পাত ইত্যাদি খাতের জন্য নির্দিষ্ট ট্যারিফ ভিত্তিক মূসক বহাল রাখার প্রস্তাব করে সংগঠনটি।

আরও পড়ুন: রাজস্ব বাড়াতে এনবিআরকে সহযোগিতা করতে চায় ইউএনডিপি

অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করা না হলে সব প্রক্রিয়াজাত পণ্যে এবং সেবার লেনদেন মূল্যের ওপর নির্ধারিত হারে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক বহাল করা, ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় না করা হলে পাইকারি এবং খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে লেনদেনের মূল্যের ওপর মূসক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে বহাল করা।

আগাম কর প্রত্যাহার প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, আগাম কর সমন্বয়ের অপারগতা এবং উৎসে কাটা মূসক রিফান্ড নিতে না পারার কারণে উৎপাদন পরবর্তী সমন্বয় চেইন ভেঙে পড়েছে ও মূলধন দায় বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার নির্বাহী খরচ, সময় হার এবং হয়রানি বেড়ে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া অহেতুক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে।

এসএম/জেডএইচ/এমএস