ধৃমল দত্ত, কলকাতা:
Advertisement
ভারতে অর্থ পাচারের অভিযোগে পিকে হালদারসহ মোট ছয়জনকে আদালতে তোলা হয়েছে। তবে আগামী ১৬ মে তাদের ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার নগর দায়রা আদালত।
৪১ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত (জুডিসিয়াল কাস্টডি) শেষে ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হলে এই নির্দেশনা দেন স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ এর বিচারক শুভেন্দু সাহা।
আরও পড়ুন> পিকে হালদার এবং অর্থপাচার সমাচার
Advertisement
এদিন স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন। যদিও অভিযুক্তদের আদালতে আনা হয় বেলা ১১টার পর।
এদিকে এই মামলা যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। এরই মধ্যে নতুন আরেকজনের নাম উঠে এসেছে। জানা গেছে, তিনি হলেন এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত পিকে হালদারের ভাই পৃথ্বীশ কুমার হালদার।
আরও পড়ুন> পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা জটিল, পি কে হালদার প্রসঙ্গে দুদক সচিব
এ ব্যাপারে এদিন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও হলট্রিপ কোম্পানির অন্যতম ডিরেক্টর পৃথ্বীশ কুমার হালদার পলাতক। প্রথম দিন থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছে। পৃথ্বীশ হালদারকে না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে ২০২২ সালের ১৪ মে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার ও আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি অভিযুক্তদের।
Advertisement
গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ এবং দুর্নীতি দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
এমএসএম