দেশজুড়ে

হামলায় চোখের কর্নিয়া হারিয়েছেন ব্যবসায়ী, অভিযুক্ত কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় সজিব কর্মকার (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত কেশব কর্মকারকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার কেশব কর্মকার শহরের কান্দিপাড়ার হারাধন কর্মকারের ছেলে।

চোখের কর্নিয়া হারানো ব্যবসায়ী সজিব কর্মকার জেলা শহরের পূর্ব পাইকপাড়ার সুধাংশু কর্মকারের ছেলে। তিনি শহরের পুরাতন সিনেমা হল রোডে ইলেকট্রনিক মালামাল ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় তার বড় ভাই রাজিব কর্মকার বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

Advertisement

মামলা সূত্রে জানা যায়, রাজিব কর্মকার ও তার ছোট ভাই সজিব সিনেমা হল রোডে উজ্জ্বল ইলেকট্রনিক নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশে শহরের কান্দিপাড়ার কেশব কর্মকার নামের এক যুবক তার সঙ্গীদের নিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছিলেন। এতে ওই এলাকার বাসাবাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যায়।

একবছর আগে তারা দুই ভাইসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী ও মহল্লাবাসী সদর মডেল থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ী কেশব থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান। তবে এ ঘটনার পর থেকে তাদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সজিব কর্মকার। পথে ফরিদুল হুদা ক্লিনিকের সামনে কেশব কর্মকার তার ভাই মাধব কর্মকারকে সঙ্গে নিয়ে দলবদ্ধভাবে তার ওপর হামলা করেন। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান। চোখে কোপ পড়ায় মারাত্মক আহত হন সজিব কর্মকার। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠান। ঢাকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার বাম চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে।

পরে ভারতের চেন্নাইয়ে শঙ্কর নেত্রালয়ে পাঠানো হলে তারাও একই কথা বলেন। চেন্নাই থেকে তাকে হায়দরাবাদে পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ূন কবির বলেন, অভিযান চালিয়ে কেশবকে কান্দিপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস