দেশজুড়ে

ধানে বিফল হলেও চালে সফল খাদ্য বিভাগ

বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২শ-১৩শ টাকায়। কিন্তু সরকারিভাবে প্রতি মণ ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৫০ টাকা। বাজার দরের চেয়ে সরকারি মূল্য কম হওয়ায় ধান সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। তবে চাল সংগ্রহে শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর।

Advertisement

গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু করে চলতি বছরের ৭ মার্চ পর্যন্ত ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ধান সংগ্রহের জন্য সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন। যার মধ্যে সংগ্রহ হয়েছে ১৫ মেট্রিক টন। এই ১৫ মেট্রিক টন ধানের পুরোটাই সংগ্রহ হয়েছে নলছিটি উপজেলার মিল মালিকদের কাছ থেকে। অন্য ৩টি উপজেলা (সদর, রাজাপুর ও কাঠালিয়া) থেকে এক ছটাকও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

অপরদিকে চাল সংগ্রহে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার ৩৭০ মেট্রিক টন। আর অর্জন হয়েছে একহাজার ৩৬৯ মেট্রিক টন ৯৮০ মণ চাল। এর মধ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলা থেকে ৫৭ মেট্রিক টন, নলছিটি উপজেলা থেকে এক হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন ৯৮০ মণ, রাজাপুর উপজেলা থেকে ৩৭ মেট্রিক টন ও কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়া থেকে ৪১ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে।

Advertisement

মিল মালিক ও কৃষকরা জানান, বাজার দরের চেয়ে প্রতিমণ ধানে দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা কম দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া ধানের আদ্রতারও একটা পরিমাপ আছে। যার কারণে কৃষকরা এ দামে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেনি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে এলাকা সংলগ্ন বাজারে ভেজা, শুকনো কিংবা আধাভেজা যে অবস্থায়ই থাকুক ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পেরেছেন কৃষকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নলছিটির এক মিল মালিক জানান, খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের কাছে ধান কিনে হস্তান্তর করেছি। বাজার থেকে যে দরে কিনে খাদ্য বিভাগকে দিয়েছি তাতে এ বছর বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে।

ঝালকাঠি জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন জানান, ঝালকাঠির স্থানীয় বাজারগুলোতে ধানের দাম বেশি হওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে খাদ্য বিভাগের কাছে ধান বিক্রি করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। তাই কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে চালের দাম বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

আতিকুর রহমান/এফএ/এমএস

Advertisement