ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ‘পারফরম্যান্স বোনাস’ (উৎসাহ বোনাস) হিসেবে প্রণোদনা দেওয়া অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
Advertisement
ওয়াসার পক্ষে করা এ আবেদন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হতে পারে।
এর আগে গত ১৬ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ে বিধি প্রণয়ন না করে পানির দাম নির্ধারণকেও বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>> ঢাকা ওয়াসার পারফরম্যান্স বোনাসে নিষেধাজ্ঞা হাইকোর্টের
Advertisement
তবে পানির দাম বাড়িয়ে কার্যকর এবং উৎসাহ ভাতাও কার্যকর করে ফেলায় সেগুলো মার্জনা করা হয়। ভবিষ্যতে বিধি প্রণয়ন না করা পর্যন্ত পানির দাম নির্ধারণ বা উৎসাহ ভাতা দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
বিধি প্রণয়ন না করে পানির মূল্য নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দৈনিক প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৩১ জুলাই কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর ঢাকা ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাঈদ মাহসিব হোসেন।
রায়ের দিন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া জানান, ঢাকা ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এ সুস্পষ্টভাবে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পানির মূল্য বৃদ্ধির কথা বলা থাকলেও কোনো বিধি প্রণয়ন ছাড়াই খেয়াল খুশিমত পানির মূল্য বৃদ্ধি এবং অবৈধভাবে ওয়ায়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করে ক্যাব।
Advertisement
আরও পড়ুন>>> নিম্নবিত্তের জন্য ওয়াসার পানির দাম কমছে, উচ্চবিত্তের জন্য বাড়ছে
উভয় পক্ষে দীর্ঘদিন শুনানি হওয়ার পর যেকোনো সময় রায় ঘোষণার জন্য ছিল। ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের একটি দ্বৈত বেঞ্চ বিধি বহির্ভূতভাবে পানির মূল্য নির্ধারণ ও পারফরম্যান্স বোনাস দেয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। যেহেতু অন্যায় কাজগুলো পূর্বেই সমাপ্ত হয়েছে তাই সেসব বাতিল না করে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
কিন্তু ভবিষ্যতে বিধি ছাড়া যেন পানির মূল্য নির্ধারণ করা না হয় এবং পারফরম্যান্স বোনাস দেওয়া না হয় সে মর্মে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বিধি প্রণয়ন না হওয়ায় পর্যন্ত জুডিসিয়াল গাইডলাইন করে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে যে আবেদন ছিল তা আপাতত মঞ্জুর করা থেকে বিরত থেকেছেন এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন যে সরকার অনতিবিলম্বে বিধি প্রণয়ন করে বিদ্যমান অসুবিধা দূর করবে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/এমএস