দেশজুড়ে

হাসপাতাল পরিবর্তন করেও সচল রাখা গেলো না এক্স-রে মেশিন

এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নিয়েও সচল রাখা গেলো না প্রায় ৬০ লাখ টাকার অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন। ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে দেড় বছর ধরে নষ্ট পড়ে আছে। মেশিনটি মেরামত না হলেও আরেকটি মেশিন দিয়ে হাসপাতালের কাজ চালানো হচ্ছে।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝিনাইদহ সরকারি শিশু হাসপাতালের জন্য ২০০৬ সালে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের লিসটেম ৫০০ মডেলের একটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন দেয় সরকার। কিন্তু তখন শিশু হাসপাতাল চালু না হওয়ার দীর্ঘ দিন স্টোররুমে বাক্সবন্দি ছিল। এর কয়েকবছর পর মেশিনটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তবে মেশিন খুলে দেখা যায় ইঁদুর ঢুকে একপাশের সব নষ্ট করে ফেলেছে। ক্ষুদ্র মেরামতে চালানোর চেষ্টা করলেও মেশিনটি পুরোপুরি সচল করা যায়নি। তবে মেশিনের আরেকপাশ দিয়ে কোনোরকম কাজ চালানো হচ্ছিল। দেড় বছর আগে মেশিনটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের প্রধান ডা. আলী হাসান ফরিদ জাগো নিউজকে বলেন, আমি ২০২১ সালে যোগ দিয়েছি। মেশিনের বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না। তবে শিশু হাসপাতালের জন্য এক্স-রে মেশিনসহ বহু যন্ত্রপাতির চাহিদা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া আছে।

Advertisement

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফি) মো. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, শিশু হাসপাতালের জন্য সরকার মেশিনটি বরাদ্দ দেয়। দীর্ঘদিন বাক্সবন্দি ছিল। আমাদের হাসপাতালে একটি বড় মেশিনের প্রয়োজন ছিল। পরে সিভিল সার্জন মেশিনটি এ হাসপাতালে পাঠান। তবে মেশিনে ইঁদুর ঢুকে ফ্লসকপির পাশের বিভিন্ন তার কেটে দেয়। রেডিওগ্রাফির পাশটি সচল ছিল। মেরামতের পর কিছুদিন মেশিনটি চলেছির। দেড় বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে।

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, এক্স-রে মেশিনটি আধুনিক ছিল। এখন অন্য একটি মেশিন দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। এতে কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে একটি এক্স-রে মেশিন আছে। শিশু হাসপাতালে কয়েকবছর পড়ে থাকার পর এ হাসপাতালে আনা হয়। তখন কিছুটা কাজ চলছিল। দেড় বছর হবে নষ্ট হয়ে আছে। মেশিন যেহেতু সমস্যা দেখা দিতেই পারে। এক্স-রে মেশিনটি মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সচল হবে।

এসজে/জিকেএস

Advertisement