পবিত্র রমজানের রোজা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। রোজা ফরজ হওয়ার পর থেকেই রোজার বিধান পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু রোজা ফরজ হওয়ার পর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতবার রমজানের রোজা রেখেছিলেন?
Advertisement
রমজানের রোজা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। এরপর থেকে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান মাসের ফরজ রোজা পালন করেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত মোট ৯ বার রমজানের ফরজ রোজা রেখেছিলেন।
ইমাম নববি রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কেননা তা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আর নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে ইন্তেকাল করেন।’ (আল-মাজমুআ ৬/২৫০)
রমজানের আগে মুসলমানদের রোজা
Advertisement
রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে মুসলিমরা প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা পালন করত বলে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়। তবে বেশির ভাগ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরবর্তী সময়ে নফলে পরিণত হয়।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মদিনায় আসেন তখন দেখতে পেলেন ইহুদিরা আশুরার দিন রোজা রাখে। তাদের রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, এই দিনেই আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালাম ও বনি ইসরাঈলকে ফেরাউনের ওপর বিজয় দান করেছিলেন। তাই আমরা ওই দিনের সম্মানে রোজা পালন করি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমাদের চেয়ে আমরা মুসা আলাইহিস সালামের বেশি নিকটবর্তী। এরপর তিনি (আশুরার) রোজা পালনের নির্দেশ দিলেন।’ (বুখারি ৩৯৪৩)
প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ আইয়ামে বিজের রোজা রাখার বিধান সব সময় মোস্তাহাব ছিল। হাদিসে আইয়ামে বিজের রোজারও বিশেষ তাগিদ এসেছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমার বন্ধু (নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে তিনটি কাজের অসিয়ত করেছেন। মৃত্যু পর্যন্ত আমি তা ত্যাগ করব না। তা হলো- ১. প্রতি মাসে তিন দিন (আইয়ামে বিজের) রোজা রাখা, চাশতের নামাজ আদায় করা এবং বিতর আদায় করে শোয়া।’ (বুখারি ১১৭৮)
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম