দেশের উত্তরের জেলা নীলফামারীর প্রধান বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুর উপজেলা। রেলওয়ে জেলা হিসেবে গড়ে ওঠা এই উপজেলায় শিল্প-বাণিজ্যের পরিধি দিন দিন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কলকারখানা, লিমিটেড কোম্পানি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। তবে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে শেয়ার লেনদেনের ব্রোকারেজ হাউজের ক্ষেত্রে।
Advertisement
এক সময় এই উপজেলায় ছিল ব্রোকারেজ হাউজের শাখা। দৈনিক কেনাবেচা হতো ৫-১০ কোটি টাকার বেশি শেয়ার। তবে পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতন ও বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার প্রভাবে মন্দা পড়ে শেয়ারবাজারে। বন্ধ হয়ে যায় সৈয়দপুরের ব্রোকারেজ হাউজগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলা শহরের বাবুয়ালি ডাল মিলের বিল্ডিংয়ে একটি অস্থায়ী ব্রোকারেজ হাউজ ছিল। সেখানে শেয়ার কেনাবেচা হতো। ব্রোকারেজ হাউজটি অনুমোদিত কোনো ব্রোকারেজ হাউজের শাখা অফিস হলেও দৈনিক সেখানে ৫-১০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হতো।
আরও পড়ুন: শেষের চাপ সামলাতে পারলো না শেয়ারবাজার
Advertisement
এছাড়া শহরের জিকরুল হক রোড, প্লাজাসহ কয়েকটি স্থানে অস্থায়ী ব্রোকারেজ হাউজের অফিস ছিল বলে জানা গেলেও বর্তমানে কোনো অস্তিত্বই নেই এসব ব্রোকারেজ হাউজের। পাওয়া যায়নি হাউজগুলোর কোনো তথ্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় শেয়ারবাজারের ব্যবসা হয়েছে প্রযুক্তিনির্ভর। ঘরে বসে কম্পিউটার কিংবা মুঠোফোনেও বিস্তারিত দেখা যায় শেয়ারবাজারের। তবে স্বল্প সময়ে ব্যাপক লেনদেনের এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালুর সম্ভাবনা দিন দিন কমলেও ব্রোকারেজ হাউজের চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও বিত্তবানদের।
এ বিষয়ে নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এস এম সফিকুল আলম (ডাবলু) জাগো নিউজকে বলেন, এক সময় সৈয়দপুরে ব্রোকারেজ হাউজ ছিল। তবে সেভাবে প্রসার ছিল না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লেনদেন করতেন, শেয়ার কেনাবেচা করত শুনেছি, এখন তো নেই। তবে যদি এখানে কোনো ব্রোকারেজ হাউজ হয় তবে ভালো হবে। এই অঞ্চলের অনেকের চাহিদা রয়েছে এই প্ল্যাটফর্মের।
আরও পড়ুন: দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা, ব্রোকারদের বিস্ময়
শেয়ারবাজারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২১ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে নীলফামারীর সৈয়দপুরসহ দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য আবেদন করে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। ডিএসই অনুমোদন না দেওয়ায় চালু হয়নি ওসব বুথ।
Advertisement
রাজু আহম্মেদ/এসএইচএস/এমএস