পূর্ব ইউক্রেনীয় শহর বাখমুতে তীব্র লড়াই চলছে কিয়েভ ও মস্কোর সেনাদের। মস্কোপন্থি বাহিনী কয়েক মাস ধরে পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের বাখমুত দখলের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউক্রেনের কমান্ডার ইন চিফ ভালেরি জালুঝনিয়ে জানিয়েছেন, সেখানকার যুদ্ধ পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
Advertisement
পশ্চিমা কর্মকর্তারা এ মাসের শুরুতে ধারণা দেন গত গ্রীষ্ম থেকে বাখমুতে ২০ থেকে ৩০ হাজার রুশ সেনা হতাহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন> বাখমুতে একদিনে রাশিয়ার ৫০০ সেনা হতাহত: ইউক্রেন
ভ্যালেরি জালুঝনিয়ে বলেছেন ইউক্রেনীয় সেনাদের ‘অসাধারণ প্রচেষ্টা’ রাশিয়াকে ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
Advertisement
যদিও মস্কো বাখমুত দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কৌশলগতভাবে বাখমুত খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাখমুতের গুরুত্ব অনেকটাই প্রতীকী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন>ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ/ ওয়াগনার গ্রুপের ৩০ হাজার সদস্য হতাহত: যুক্তরাষ্ট্র
ফেসবুক পোস্টে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জালুঝনিয়ে আরও বলেছেন, সেনাবাহিনীর অব্যাহত প্রচেষ্টার কারণে বাখমুতের পরিস্থিতি এখন স্থিতিশীল। যুক্তরাজ্যের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অ্যাডমিরাল সার টনি রাডাকিনের সঙ্গে আলোচনা করার পর জালুঝনিয়ে ফেসবুকে এ পোস্ট দেন।
Advertisement
তার এ মন্তব্য দীর্ঘদিন ধরে বাখমুতে লড়াই করা ইউক্রেনীয় সেনাদের ইতিবাচক অগ্রগতির বার্তা বহন করে। এর আগে বৃহস্পতিবার, দেশটির স্থল বাহিনীর কমান্ডার সিরস্কিও বলেছেন রুশ সেনারা বাখমুতের কাছে ‘ক্লান্ত’ হয়ে পড়েছে।
সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বাখমুতের ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন করেন। গতবছর ডিসেম্বরেও তিনি বাখমুত পরিদর্শনে যান।
রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের আগে বাখমুতে ৭০ হাজার মানুষের বসবাস ছিল।
বাখমুত দখল রাশিয়াকে পুরো দোনেটস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণের কিছুটা কাছাকাছি নিয়ে আসবে। পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলের একটি এটি। গত সেপ্টেম্বরে রাশিয়া কথিত গণভোটের মাধ্যমে সংযুক্ত করেছিল এই অঞ্চল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের টার্গেট হচ্ছে পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক প্রদেশের জয়। লুহানস্ক ও দোনেস্ক এই দুই মিলে ডনবাস। এ ক্ষেত্রে বাখমুতকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়। বাখমুতের অবস্থান দোনেৎস্কে।
আরও পড়ুন>রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ/ তুমুল লড়াই বাখমুতে, দুই বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির দাবি
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ডনবাস বলেন, তখন তিনি বোঝান ইউক্রেনের পুরোনো ইস্পাত ও কয়লা উৎপাদনকারী এলাকাটিকে। যার অর্থ দাঁড়ায় সমগ্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক মিলিয়ে একটি বড় অঞ্চল। প্রধানত রুশ-ভাষী লোকজনের এ এলাকাটিকে ‘মুক্ত করার’ কথা বার বার বলে আসছেন পুতিন।
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/এমএস