বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার (৬৯ হাজার ৬৯১) জন। এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে মোট মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ২৬ হাজার ২৯৫ জন। একই সঙ্গে শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ কোটি ৩১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৫ জনে।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময়ে দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে জার্মানি। প্রাণহানির এ তালিকায় জার্মানির পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, স্পেন, তাইওয়ান, রাশিয়া, চিলি, ফ্রান্সের মতো দেশগুলো।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৪৯৩ জন। দেশটিতে এ সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৩৫ জন। এ নিয়ে রাশিয়ায় মোট করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৮ জন। এদের মধ্যে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
দৈনিক প্রাণহানিতে শীর্ষে থাকা জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০০ জন। এ সময়ে দেশটিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৫ জন। এ নিয়ে জার্মানিতে করোনায় মোট সংক্রমিত রোগী ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৩৩১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৪ জন। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত ১০ কোটি ৬০ লাখ ৮৭ হাজার ৮৩৫ জন এবং মারা গেছেন ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
জাপানে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৬৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৪৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ১৭৫ জন শনাক্ত এবং ৭৩ হাজার ৬৮১ জন মারা গেছেন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত এক কোটি দুই লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ এবং মারা গেছেন ১৮ হাজার ৯৩১ জন।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ায় একদিনে ১০ হাজার ২৮৩ জন শনাক্ত এবং মারা গেছেন ১০ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪০ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ হাজার ২১১ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৮৩৯ জন শনাক্ত এবং মারা গেছেন ১৫ জন। দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ৩ কোটি ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ১১৮ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৪৬৯ জন।
কেএসআর/এএসএম