মৌলভীবাজারে বিষ প্রয়োগে ১৩ শকুন হত্যায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শকুনের মৃত্যু নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ টিম মাঠে কাজ করছে। কী কারণে এক সঙ্গে এতো শকুনের মৃত্যু হয়েছে সেটি বের করার কাজ চলছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশে বিগত কয়েক বছর ধরে শকুনের আনাগোনা ছিল। ওই এলাকায় কেন সচেতনতামূলক কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো হয়নি সেটা বড় প্রশ্ন।
Advertisement
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে বিষ প্রয়োগে ১৩ শকুন হত্যা
তিনি আরও জানান, সারাদেশে ২৬০টি শকুন রয়েছে। রেমা-কালেঙ্গা ও আশপাশ এলাকায় রয়েছে ৬০-৮০টি শকুন। এর বড় একটি অংশ মারা গেল। এটা খুব দুঃখজনক। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শকুন মরার ঘটনা নিয়ে শুক্রবার মৌলভীবাজার সদর থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এক সঙ্গে অনেক শকুনের মৃত্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তদন্ত করে যাচ্ছেন। সঠিক তথ্য খোঁজে বের করার জন্য তারা কয়েকদিন যাবত মাঠে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক পাখি বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ জাগো নিউজকে বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে হবে। সচেতনতার অভাবে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
আব্দুল আজিজ/আরএইচ/এএসএম