কম খরচ ও কম পরিশ্রম হওয়ায় যশোরের শার্শা উপজেলায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। চলতি বছর গত কয়েক বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে বাম্পার ফলনের আশা দেখছেন চাষিরা। এবার চমক জাতের ভুট্টা বেশি চাষ করা হয়েছে। অন্য ইউনিয়নের তুলনায় শার্শা সদর ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়েছে।
Advertisement
উপজেলার ছোট নিজামপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতিটি গাছে ফলন ভালো হয়েছে। এবছর ফলন ভালো পেলে আগামীতে পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করার ইচ্ছা আছে।’
কেরালখালী এলাকার চাষি বাবু বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল চমক জাতের ভুট্টা চাষ করেছি। উপজেলা থেকে সার্বিক সহযোগিতায় গত বছরের থেকে চলতি বছর ব্যাপক লাভের আশা দেখছি।’
আরও পড়ুন: চারদিকে মুকুলের মৌ মৌ সুবাস
Advertisement
উপজেলার বাসাবাড়ি এলাকার ভুট্টা চাষি কবির বলেন, ‘দুই একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে।’
শার্শা সদর এলাকার সুবর্ণখালী এলাকার চাষী নুর নবী বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার সবকিছুর খরচ বৃদ্ধি। তবে গতবার ভাইরাসের কারণে অনেক ভুট্টা গাছের ক্ষতি হয়েছিল। আশা করছি এবছর সবমিলিয়ে খরচ বেশি হলেও লাভবান বেশি হবো।’
উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অসিত কুমার মন্ডল বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় উপজেলার অন্য এলাকার মতো নিজামপুর ইউনিয়নে ব্যাপক হারে ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর ১২ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও এবার প্রায় ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। কম পরিচর্যায় উৎপাদন বেশি হওয়ায় কৃষকও লাভবান হয়ে চাষে ঝুঁকছেন।’
আরও পড়ুন: বেড়েছে তরমুজ চাষ, ভালো বিক্রির আশা কৃষকের
Advertisement
শার্শা উপজেলার কৃষি অফিসার প্রতাপ মন্ডল বলেন, ‘অনুকূল আবহাওয়া, কম খরচে বেশি ফলন, অন্য ফসলের চেয়ে পরিচর্যা খরচ ও রোগবালাই কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। ভুট্টা চাষে সহায়তা অব্যাহত থাকায় উৎপাদনও বেড়েছে। গত বছর উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা নিয়ে মাত্র ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছিল। এ বছর চাষ হয়েছে ২৪০ হেক্টর জমিতে।
মো. জামাল হোসেন/এসইউ/এমএস