চট্টগ্রাম বন্দরে সোডা অ্যাশের ঘোষণায় আনা আটক সেই কনটেইনারে ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত পৌনে ৮টায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক এ তথ্য জানান।
Advertisement
এর আগে এদিন বিকেল ৬টার দিকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে বন্দরের চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার ভর্তি মদের চালানটি আটক করে কাস্টমস।
আরও পড়ুন>> সোডা অ্যাশের ঘোষণা দিয়ে মদ আনলো ‘বিসমিল্লাহ করপোরেশন’
বৃহস্পতিবার বন্দরের টার্মিনাল ম্যানেজারকে দেওয়া কাস্টমসের এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিলা হয়, একটি এফসিএল (ফুল কনটেইনার লোড) কনটেইনারে ঢাকার বংশাল ১৪, হাজী আবদুল্লাহ সরকার লেনের ‘বিসমিল্লাহ করপোরেশন’ নামের আমদানিকারক সোডা অ্যাশ লাইট ঘোষণায় এক কনটেইনার পণ্য আমদানি করেন। কনটেইনারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষার জন্য কিপ ডাউনের অনুমতি চাওয়া হয় চিঠিতে।
Advertisement
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের এআইআর সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ দুবাই পোর্ট হতে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। চালানটির আমদানিকারক ঢাকার বংশালের ১৪, হাজী আবদুল্লাহ সরকার লেনের ‘বিসমিল্লাহ করপোরেশন’। তারা ২৭ টন সোডা অ্যাশ ঘোষণা দিয়ে চালানটি নিয়ে আসে। কনটেইনারটি আটকের পর সিসিটি ইয়ার্ডে কিপডাউন করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখা কায়িক পরীক্ষা করে ভদকা, জনি ওয়াকার, ডাবল ব্ল্যাক, ব্ল্যাক লেবেল, চিভাস রিগাল, বেলেনটাইনু স্কচ হুইস্কিসহ নানান ব্র্যান্ডের ১৬ হাজার ৮২৪ লিটার মদ পায়। কায়িক পরীক্ষা শেষে এসব জব্দ করে কাস্টমস। জব্দকৃত এসব মদের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ টাকা। চালানটিতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
ইকবাল হোসেন/ইএ