দেশজুড়ে

খুলনায় নাগালের বাইরে লেবু-শসা

রমজানকে সামনে রেখে খুলনার বাজারে বেড়েছে কয়েক ধরনের সবজির দাম। বিশেষ করে বেড়েছে বেগুনের দাম। আর ক্রেতার নাগালের বাইরে লেবু ও শসার দাম। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা।

Advertisement

বিক্রেতারা বলছেন, রমজানে চাহিদা থাকায় বেগুন, শসা, কাঁচামরিচ, লেবুর দাম কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, ক্ষেত থেকে যে দামে দিচ্ছেন, তার থেকে দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সবজি।

খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের সবজি বিক্রেতা রহমত আলী জানান, দু-তিন দিন আগেও তারা বেগুনের কেজি বিক্রি করেছেন ৪০-৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা আর লেবু ২০ টাকা হালি বিক্রি করেছেন। আজ তিনি সেই বেগুন বিক্রি করছেন ৭০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, মরিচ ১০০ টাকা, লেবু হালি ৫০ টাকা আর সুগন্ধি লেবু ৩৫ টাকা।

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের ব্যবসায়ী রানা জানান, তিনি বেগুন বিক্রি করছেন ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা। রমজান শুরু হলে বেগুনের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। শুধু বেগুন নয়, রমজানে বেশি প্রয়োজন হয় শসার। তার দামও আজ বেড়েছে।

Advertisement

এদিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনালের পাইকারি কাঁচাবাজারের আড়তদার হায়দার আলী বলেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে পণ্যের দাম বাড়ে। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সকালে আড়তে বেগুন পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। এছাড়া কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা।

এদিকে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুই কাঠা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। ক্ষেত থেকে ৩০ ও ৪০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করছি। বেগুনের চাহিদা থাকায় এবার দুই কাঠা জমি থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবো।’

খুলনার শষ্যভান্ডার খ্যাত ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের কৃষক সুজিত দফাদার বলেন, ‘শীতকালীন সবজির পাশাপাশি মরিচের চাষ করেছি। ক্ষেত থেকে প্রতি কেজি মরিচ ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এতে তার লাভ হচ্ছে। তবে এর বেশি দামে বাজারে মরিচ বিক্রি হচ্ছে।’

এ কৃষক আরও বলেন, ‘আমরা পাইকারদের কাছে একটু বেশি দাম চাইলেই তারা অন্যদিকে চলে যায়। তুলে রাখা মরিচ কম দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে এক প্রকার বাধ্য। তবে এ দামে বিক্রি করলেও উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কিছু লাভ থাকবে।’

Advertisement

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুম। এ সময় ফসল উৎপাদন করতে হলে কৃষকদের অনেক শ্রম দিতে হয়। ফসলের রোগ বালাই তো আছেই। ফলে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে তারা তো লাভের চিন্তা করতেই পারে।

তিনি আরও বলেন, এখন ঝড়-বৃষ্টির সময়। যদি একটা ঝড় বা অধিক বৃষ্টি হয়, তাহলে কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনা আছে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এসজে/এএসএম