নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মডেল মসজিদের ভেতরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় র্যাব সদর দপ্তরের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ শুরু করেছে। বুধবার (২২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ১০ সদস্যের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
Advertisement
র্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্য মেজর মশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এখানে একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কেন বিস্ফোরণ হলো তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং কুমিল্লা থেকে আসা সিআইডির ক্রাইম সিন দলও ঘটনাস্থলে আসে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসির আরাফাত জাগো নিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) মসজিদটি উদ্বোধন করেন। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে মসজিদটির দ্বিতীয় তলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়। এতে দ্বিতীয় তলার মেঝে ও দেওয়ালে ফাটলসহ জানালার কাচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
Advertisement
এদিকে বুধবার সকালে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এবং বিকেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল আউয়াল ও মডেল মসজিদের প্রকল্প পরিচালক মজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি নাশকতা নাকি অন্যকিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য বোম ডিস্পোজাল ইউনিটকে ডেকে আনা হয়েছে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, বিস্ফোরণের পর থেকে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। নাশকতার আলামত পেলে মামলা করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হক অ্যান্ড ব্রাদার্স। এর আগে মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন স্থানীয়রা।
Advertisement
ইকবাল হোসেন মজনু/এমআরআর/এএসএম