বেড়েই চলেছে সব ধরনের মাংস, দুধ ও ডিমের দাম। নাগালের বাইরে যাওয়ায় এসব খাদ্য কিনতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের কথা মাথায় রেখে আসন্ন রমজানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে কম দামে দুধ, ডিম, ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে গত বছরের রোজার তুলনায় এবার বাড়তি দামে বিক্রি হবে এসব পণ্য।
Advertisement
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় রাজধানীর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর ২০টি স্থানে ১ রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন>> মুরগির দামে সিন্ডিকেটের থাবা
Advertisement
এ কার্যক্রমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
গত রোজায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৫০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২০০ টাকা, পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা এবং ডিম প্রতি হালি ৩০ টাকায় বিক্রি করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
বিগত বছরের তুলনায় এবার গরুর মাংস কেজিতে ৯০ টাকা, খাসির মাংস কেজিতে ১৪০, ড্রেসড ব্রয়লার কেজিতে ১৪০, দুধ লিটারে ২০ এবং ডিম হালিতে ১০ টাকা করে বাড়তি দামে বিক্রি করবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, মূলত বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়। ফলে বাজারের দামের তুলনায় খুব বেশি তারতম্য রাখা সম্ভব হয় না। তাই বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই গতবারের তুলনায় বেশি দামেই এবার এসব পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> সবচেয়ে খরুচে রমজান এবার!
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আগের বছরগুলোতেও ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যাপক সুফল মানুষ পেয়েছে। এবছরও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে দাম পরিবর্তন হবে। বাজারের তুলনায় দাম সুলভ থাকবে, কিন্তু বর্তমান বাজার অনুযায়ী একটু পরিবর্তন হবে।
রাজধানীতে সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফিট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বসিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ি, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর এবং রামপুরায় এ বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
আইএইচআর/ইএ