জাতীয়

চাঁদ দেখা যায়নি, রোজা শুরু শুক্রবার

বুধবার সন্ধ্যায় দেশের কোথাও পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার (রোজা) মাস রমজান শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২৪ মার্চ)। আগামী ১৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দিনগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

Advertisement

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বুধবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

এবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। রমজান মাস শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

আরও পড়ুন: রোজা রাখার উপকারিতা

Advertisement

সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যায় বাংলাদেশের কোথাও হিজরি ১৪৪৪ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। শুক্রবার থেকে রমজান মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৮ এপ্রিল দিনগত রাতে (রমজানের ২৬তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান তিনি।

এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষ রাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় রাত ৪টা ৩৯ মিনিট। শুক্রবার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ১৪ মিনিট।

এদিকে, মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে রমজান শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার।

Advertisement

আরও পড়ুন: সবচেয়ে বেশি এবং কম সময় রোজা রাখতে হবে যেখানে

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।

এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন: সৌদিতে রোজা শুরু ২৩ মার্চ

অন্যদিকে, পবিত্র কোরআন খতমের পূর্ণ সওয়াব থেকেও যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেজন্য রমজান মাসে খতমে তারাবি নামাজ পড়ার সময় সারা দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

রমজান মাসের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা এবং বাকি ২১ দিনে এক পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এভাবে ২৬ রমজান দিনগত রাতে অর্থাৎ শবে কদরে পবিত্র কোরআন খতম করার অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস