জাতীয়

উড়োজাহাজের ইঞ্জিন-যন্ত্রাংশ-জ্বালানিতে কর মওকুফ চায় এওএবি

উড়োজাহাজ, উড়োজাহাজের ইঞ্জিন, যন্ত্রাংশ এবং জ্বালানির ওপর আরোপিত আমদানি কর, ভ্যাট, আগাম কর এবং অগ্রিম আয়কর মওকুফের দাবি জানিয়েছে অ্যাভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (এওএবি)।

Advertisement

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে এওএবি সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট বৈঠকে সংস্থাটির পক্ষ থেকে উড়োজাহাজ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর প্রত্যাহার, যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর ৫ শতাংশ আগাম কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের জন্য লিখিত প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। ইঞ্জিনের ধরনভেদে সর্বমোট ২৬ দশমিক ২০ ভাগ করহার বিদ্যমান, যা পূর্বে শূন্য শুল্কে ছাড় করানো হতো।

তাই ইঞ্জিনের ধরনভেদে আরোপিত সব আমদানি শুল্ক, ভ্যাট, আগাম কর এবং ধরনভেদে আয়কর প্রত্যাহার করে পুনরায় শূন্য শুল্ক প্রস্তাব করেছে এওএবি।

সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে অ্যাভিয়েশন জ্বালানি আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অতি মূল্যায়িত। তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত। তাই অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে জ্বালানির ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এওএবি।

Advertisement

বৈঠকে এওএবি আরও জানায়, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির দামে তারতম্য হয় না। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে প্রদেশভেদে আরোপিত কর হ্রাস করেছে। এমনকি জনস্বার্থে কমিয়ে ১ শতাংশ হারেও নির্ধারণ করা হয়েছে। যাত্রীপ্রতি আরোপিত বিবিধ চার্জ, কর বাবদ ৭২৫ টাকা থেকে ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে যাত্রী কর ভাড়ার প্রায় ২৫ শতাংশ জানিয়ে এওএবি জানায়, যাতায়াতের অন্যান্য মাধ্যমে এত উচ্চ করহার নেই। উচ্চকর হারের জন্য টিকিটমূল্য যাত্রীর ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায় এবং যাত্রীসংখ্যা কমে সার্বিক কর সংগ্রহ কম হয়। তাই যাত্রী সাশ্রয়ী ভাড়া নির্ধারণের জন্য সার্বিক কর ২২৫ টাকা হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এওএবি মহাসচিব মফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, উড়োজাহাজ ক্রয় অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ আমদানি কর এয়ারলাইন্সগুলোর উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যবসা পরিচালনা দুঃসাধ্য হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এছাড়া ব্যয়বহুল যন্ত্রাংশের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম কর এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়করের সঙ্গে নির্দিষ্ট যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত কর মিলিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্বিক করহার ১০০ শতাংশ অতিক্রম করে।

Advertisement

এমএমএ/এমকেআর/জেআইএম