জাতীয়

গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমাতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে

গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে জরুরি ও উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। একই সঙ্গে তিনি গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনে ক্ষয়ক্ষতিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দুর্বল দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন।

Advertisement

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সবার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কপ২৭-এ নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের ইগটিভেডস পাখুসে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) অনুষ্ঠিত প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের কোপেনহেগেন জলবায়ু সংক্রান্ত সম্মেলনের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত ব্রেকআউট অধিবেশনে যোগ দিয়ে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি সান্তিয়াগো নেটওয়ার্কের কার্যক্রম পরিচালনা এবং ক্ষয়ক্ষতির অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কপ২৭-এ নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোকে স্বাগত জানান।

Advertisement

শাহাব উদ্দিন বলেন, নতুন জলবায়ু তহবিল ব্যবস্থার কার্যকরীকরণ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) বা অভিযোজন তহবিলের অনুরূপ হতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির জন্য নতুন তহবিলের উৎসগুলো উদ্ভাবনী উৎসসহ ‘নতুন’ এবং ‘অতিরিক্ত’ হওয়া উচিত এবং অভিযোজন থেকে সংস্থানগুলোকে সরিয়ে দেওয়া উচিত নয়।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আর্থিক সংস্থান সংগ্রহের গুরুত্ব স্বীকার করে। আমরা বিশ্বাস করি যে ক্ষয়ক্ষতির অর্থায়ন ব্যবস্থার জন্য এলডিসি এবং সিআইডিএসসহ সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোর চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য সময়মতো এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া উচিত।

আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম

Advertisement