মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক ৯২ বছর বয়সে পঞ্চমবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন। এই ধনকুবেরের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন ৬৬ বছর বয়সী অ্যান লেসলি স্মিথ। তিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর পুলিশ চ্যাপলেইন (পরামর্শক) ছিলেন।
Advertisement
রুপার্ট মারডক ও লেসলি স্মিথের প্রথম সাক্ষাৎ হয় গত সেপ্টেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ায়। এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তারা।
এই ব্যবসায়ী তার নিজস্ব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আমি প্রেমে পড়ার ভয় পেতাম। কিন্তু আমি জানতাম যে এটিই আমার শেষ প্রেম। এটি হলে আরও ভালো হয়। আমি খুব খুশি।’
গত বছর চতুর্থ স্ত্রী জেরি হলের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে রুপার্ট মারডকের।
Advertisement
সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, লেসলি স্মিথকে তিনি মনের কথা খুলে বলেন সেইন্ট প্যাট্রিকস ডেতে। আর সে সময় তিনি ছিলেন ভীষণ নার্ভাস।
স্মিথের স্বামী চেষ্টার স্মিথ ছিলেন টেলিভিশন নির্বাহী। ১৪ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর আর বিয়ে করেননি লেসলি।
নিউ ইয়র্ক পোস্টকে অ্যান লেসলি স্মিথ বলেন, ‘আমাদের দুজনের জন্যই এটা ঈশ্বরের উপহার। গত সেপ্টেম্বরে আমাদের পরিচয় হয়।’
লেসলি আরও বলেন, ‘১৪ বছর ধরে একাই রয়েছি। আমার স্বামীও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আমি রুপার্টের ভাষা বুঝতে পারি। আমাদের ধারণা ও বিশ্বাস একই।’
Advertisement
আগের তিন সংসারে ৬ সন্তান রয়েছে রুপার্ট মারডকের। তিনি আরও বলেন, ‘বাকী জীবনটা আমরা একসঙ্গে কাটাতে চাই।’
আগামী গ্রীষ্মকালেই বিয়েটা সেরে ফেলবেন তারা। এরপর এই জুটি সময় কাটাবেন ক্যালিফোর্নিয়া, মন্টানা, নিউ ইয়র্ক আর যুক্তরাজ্যে।
মারডক এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিমানবালা প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা মান, চীনা বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালে সুপার মডেল জেরি হলকে বিয়ে করেন তিনি। সে বিয়েও টিকেনি তার।
রুপার্ট মার্ডক একজন অস্ট্রেলীয় আমেরিকান নাগরিক যিনি বহুজাতিক সংবাদ মাধ্যমের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিউ ইয়র্কভিত্তিক নিউজ কর্পোরেশনের অধিকাংশ শেয়ারের মালিক, চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অস্ট্রেলিয়াতে সংবাদপত্র, পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করার পর তিনি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। গোটা বিশ্ব তাকে মিডিয়া টাইকুন হিসেবেই চেনে।
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/জিকেএস