পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ ও লাহোর শহরে অভিযান চালিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অসংখ্য কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সপ্তাহে লাহোরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) যেসব কর্মী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> পাকিস্তানে গাড়িতে হামলা, পিটিআই নেতাসহ নিহত ১০
পিটিআইয়ের দাবি, পুলিশ তাদের কর্মীদের ওপর অযৌক্তিক নির্যাতন শুরু করেছে। পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ইসলামাবাদ ও লাহোর থেকে আমাদের প্রায় ২৮৫ জন কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) রাতে পুলিশ পিটিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়িতে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে।
লাহোর ও ইসলামাবাদের পুলিশ অভিযান ও পিটিআই কর্মীদের গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছে। এই কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগে জড়িত ছিল বলে দাবি করেছে তারা।
Advertisement
আরও পড়ুন>> অভিযান শেষে ইমরান খানের বাসভবন ছাড়লো পুলিশ
লাহোরের পুলিশ প্রধান বিলাল কামিয়ানা বলেন, দলটির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাতটি মামলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পিটিআই নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে কয়েকজনসহ লাহোর থেকে মোট ১২৫ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান লাহোর পুলিশ প্রধান।
এদিকে, ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্র জানান, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় এ পর্যন্ত ১৯৮ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
আরও পড়ুন>> ইমরান খানের সমর্থকদের বেধড়ক পেটালো পুলিশ
Advertisement
গত সপ্তাহে আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে তার লাহোরের বাসভবনে যায় পুলিশ। কিন্তু দলনেতার বাড়ি ঘিরে রাখা পিটিআই কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেয় ও একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
পরে শনিবার ইমরান খান ইসলামাবাদের আদালতের হাজির হওয়ার সময়ও তার কর্মী-সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শনিবারের ওই সংঘর্ষে ৫৮ জন আহত ও পুলিশের কয়েকটি গাড়িসহ এক ডজনেরও বেশি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন>> গ্রেফতার করতে না পেরে ইমরানের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব শাহবাজের
সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান ২০১৮ থেকে ২০২২ এ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে ক্ষমতা হারানোর আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই তিনি আগাম নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। এমনকি, নির্বাচন নিয়ে চাপ সৃষ্টির জন্য পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছেন।
ক্ষমতা হারানোর পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলার শুনানিতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ পরোয়ানা নিয়েই গত মঙ্গলবার লাহোরে তাকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু পিটিআই কর্মীদের বাধার মুখে পুলিশ ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ