অর্থনীতি

বছরের ব্যবধানে তারল্য কমেছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা

গত ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে বিশেষায়িত ব্যাংক ছাড়া দেশের ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমেছে ৫৪ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

Advertisement

খাত বিশ্লেষকরা বলছেন, রেপো মার্কেটে অনেক তারল্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার নতুন রি-ফাইন্যান্সিং স্কিম চালু হচ্ছে, এতে তারল্য যোগ হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলোয় তারল্য কমার সবচেয়ে বড় কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা, বিশেষ করে ডলার কেনা।

ব্যাংক খাতে তারল্য নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ঋণ বিতরণ বেড়েছে। আবার দ্রব্যমূল্য বাড়ায় আমদানিতে খরচ বেশি হচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনছে। এসব কারণে ব্যাংক ব্যবস্থায় তারল্য বা নগদ টাকার পরিমাণ কমে এসেছে।

আরও পড়ুন: দেশের কোনো ব্যাংকে ডলার সংকট থাকবে না: সালমান এফ রহমান 

Advertisement

সবশেষ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে, এক বছরে তারল্য কমেছে প্রায় ৫৫ হাজার কোটি (৫৪ হাজার ৭০১ কোটি) টাকা।

এর আগের প্রান্তিক অর্থাৎ সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের তারল্যের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে তারল্য কমেছে ২১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা।

এদিকে ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে সুদের হারে এক অঙ্কের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ সীমা তুলে নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। এর পরিবর্তে বাজারে সুদের চাহিদা অনুযায়ী বেঞ্চমার্ক ভিত্তি বা রেফারেন্স রেট বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নতুন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সুদের হার হতে পারে ১৩ শতাংশ। বর্তমানে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা রয়েছে ৯ শতাংশ।

Advertisement

আগামী অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে উল্লেখ করা হবে সুদহারের বিষয়টি। রোববার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস