দেশজুড়ে

দখল-ভরাটে হারিয়ে যাচ্ছে পুরোনো খাল

দখল ও ভরাটের কারণে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বিজিবি ক্যাম্পের সামনের খালটি। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখানকার আশপাশের ফসলি জমিও অনাবাদি হয়ে পড়ছে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্বপাশে খালের পাড়ে রয়েছে দোকানপাট। সড়কটি ফোরলেন হওয়ায় অনেকগুলো দোকানপাট ভেঙে ফেলা হয়। পাশেই রয়েছে এক শিক্ষক দম্পতির বাড়ি। তাদের মধ্যে ছেরাজুল হক মহিপাল তৈয়বিয়া নূরিয়া দাখিল মাদরাসা ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জায়লস্কর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ওই বাড়ি ঘেঁষে খালের পানি প্রবাহ ছিল। দিনেদিনে সেটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ওই শিক্ষক দম্পতি খালের ওপর সীমানা প্রাচীরসহ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়ার নজরে আনা হলে তিনি কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন।

নুরুল আমিন, আবদুর রশিদসহ স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ছোট ফেনী নদীতে পানি চলাচলের জন্য ১০ ফুট জায়গা রেখে হাঁস-মুরগি পালনের জন্য খালের কিছু অংশ বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। গতবছর পর্যন্ত বিজিবি ক্যাম্পসহ স্থানীয় লোকালয়ের পানি ওই খাল দিয়ে চলাচল করতো। এরইমধ্যে বন্দোবস্তগ্রহীতা শিক্ষক দম্পতি কালভার্টের মুখে বালুর বস্তা দিয়ে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরে এ বিষয়ে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা শাহাজাহান বলেন, খালের পাশেই কাশিমপুর মৌজায় চারটি ফিশারি ও ৫০০ শতাংশ কৃষি জমি আছে। খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেলে এসব জমি অনাবাদি হয়ে যাবে। আগে এই খালে সারাবছর পানি থাকত। এখন পানির পরিমাণও দিনদিন কমে যাচ্ছে।

Advertisement

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছেরাজুল হক ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। তাদের দাবি, শর্ত মেনেই বন্দোবস্তের জায়গায় সীমানা প্রাচীন নির্মাণ করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে কাজ সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া বলেন, খালের মধ্যে পাকা ভবন নির্মাণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বন্দোবস্তের কাগজপত্র দেখে পানি প্রবাহের ১০ ফুট জায়গা খালি রেখে কাজ করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমআরআর/এমএস