মাত্র ১২০ টাকা খরচে ছেলের চাকরি হয়েছে পুলিশ প্রশাসনে। এভাবে ছেলের চাকরি হওয়ায় আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ক্লিনার আব্দুল মালেক। এবারের বাংলাদেশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে আব্দুল মালেকের ছেলে শ্যামল মিয়ার চাকরি হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত বাছাইকৃতদের অভিভাবকদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
Advertisement
আব্দুল মালেক সদর উপজেলার কামালিয়ার চরের বাসিন্দা। তিনি কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় ক্লিনার হিসেবে কাজ করেন।
কাঁদতে কাঁদতে আব্দুল মালেক বলেন, আমি খুবই গরিব মানুষ। এভাবে ছেলের পুলিশে চাকরি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। আমি পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। সবার কাছে দোয়া চাই যেন আমার ছেলে দেশের সেবা করতে পারে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে ১১২ জন ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল পদে চূড়ান্ত সদস্যদের বাছাই করা হয়েছে। যথাযথভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দেশপ্রেমে ব্রত হয়ে তারা কাজ করবে বলে আশা করছি।
Advertisement
এর আগে নতুন নিয়োগ হতে যাওয়া ১১২ পুলিশ সদস্যদের অভিভাবকদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার। এ সময় ১১২ পুলিশ সদস্যদের হাতে একটি করে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ও বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবুক তুলে দেন এসপি।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোস্তাক সরকার ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন হোসাইনসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এফএ/এমএস
Advertisement