আন্তর্জাতিক

বিশ্ববাজারে তেলের দাম ১৫ মাসে সর্বনিম্ন

বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং খাতে চলমান অস্থিরতার কারণে ফের জেঁকে বসেছে বৈশ্বিক মন্দার শঙ্কা। আর তার প্রভাবে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজারে শুরু হয়েছে ব্যাপক দরপতন। সোমবার (২০ মার্চ) বিশ্ববাজারে তেলের দাম নেমে গেছে গত ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

Advertisement

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, সোমবার দিনের শুরুতেই অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম নেমে গিয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৭০ দশমিক ৫৬ মার্কিন ডলারে। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে ব্রেন্টের সর্বনিম্ন দাম। আর গত সপ্তাহে এর দাম কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ, যা গত ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বোচ্চ সাপ্তাহিক পতন।

আরও পড়ুন>> বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

একই অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটেরও (ডব্লিউটিআই)। এদিন সকালে এপ্রিলে ডেলিভারিযোগ্য ডব্লিউটিআই’র দাম নেমে যায় ৬৪ দশমিক ৫১ ডলারে, যা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন। আর গত সপ্তাহে এর দরপতন হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক পতন।

Advertisement

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের এমন ব্যাপক দরপতনের পেছনে বৈশ্বিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় চলমান অস্থিরতা এবং তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার বাড়ানোর সম্ভাবনা বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন>> তেলের নতুন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের হঠাৎ পতনের মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং খাতের সাম্প্রতিক এ অস্থিরতার শুরু। এই সংকট ছড়িয়ে পড়া আটকানোর চেষ্টায় একীভূত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সুইজারল্যান্ডের দুই বৃহত্তম ব্যাংক।

দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক ক্রেডিট সুইসকে ৩২৩ কোটি ডলারে কিনে নিচ্ছে সেখানকার বৃহত্তম ব্যাংক ইউবিএস। এ ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রধান ব্যাংকগুলো বাজারে তারল্য বৃদ্ধি এবং অন্য ব্যাংকগুলোকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে এরপরও জ্বালানি তেলের দরপতন থামেনি।

Advertisement

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ইউরোপের ব্যাংকে বড় ধাক্কা

ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কমোডিটি রিসার্চের প্রধান ব্যাডেন মুর বলেন, বর্তমানে (তেলের) বাজারের মূলদৃষ্টি ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতা এবং ফেডের সুদের হার আরও বাড়ানোর সম্ভাবনার ওপর। এছাড়া, ওপেকের আসন্ন সভাও বাজার পরিস্থিতির আরেকটি সম্ভাব্য অনুঘটক।

রয়টার্সের জরিপে বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ব্যাংকিং অস্থিরতা সত্ত্বেও আগামী ২২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার আরও ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেএএ/