মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করা হলেও এখনো বঞ্চিত দেওড়াছড়া চা বাগানের ১৭৫টি পরিবার। বাগানের ৬ ও ৭ নম্বর লাইন, শালবাড়ি ও চন্ডিপুর এলাকায় তিন বছর আগে খুঁটি ও লাইন টানানো হলেও নেই সংযোগ।
Advertisement
চা বাগানের বাসিন্দা মিঠুন উড়াং, রাজু উড়াং, সুমন রায়, আপন উড়াংসহ অনেকে জানান, কয়েক বছর আগে বিদ্যুতের জন্য খুঁটি ও লাইন টানা হলেও অদৃশ্য কারণে সংযোগ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় বিদ্যুতায়িত হলেও এখানে এখনো অন্ধকার। বিদ্যুতের অভাবে তাদের অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরা ঠিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছে না।
শিক্ষার্থী রাজু জানায়, ‘আমরা রাতে পড়াশোনা করতে পারছি না। কুপিয়ে জ্বালিয়ে পড়তে কষ্ট হয়। শুনেছি কমলগঞ্জকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমদের এখানে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সিতাংশো কর্মকার জাগো নিউজকে বলেন, ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর সেকশনে বিদ্যুৎ লাইন টানানো হয়েছে তিন বছর হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে বোঝাপড়ার চলছে। তাই সংযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট বলছে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করে দেবে।
Advertisement
রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার হোসেন বদরুল জাগো নিউজকে বলেন, চা বাগানে সংযোগের পরিমাণ বেশি থাকায় পর্যায়ক্রমে সংযোগ দেওয়া হবে। এখানে চা কোম্পানির নিয়ম কানুন আছে। আমি বাগান ম্যানেজারের সঙ্গে আলাপ করছি। যাতে দ্রুত সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়।
বাগান ম্যানেজার মোস্তফা জামান জাগো নিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী টাকা জমা হয়েছে। এরপরও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কমলগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম গোলাম ফারুক মীর জাগো নিউজকে বলেন, বাড়িগুলোতে ওয়ারিংয়ের কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। ওয়ারিং সম্পূর্ণ করে বাগান কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র দিলেই আমরা দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে পারবো।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন জাগো নিনউজকে বলেন, সংযোগের বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও বাগান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে।
Advertisement
এসজে/জিকেএস