চট্টগ্রাম বন্দরে এখন থেকে নিয়মিত ভেড়ানো যাবে ২০০ মিটার পর্যন্ত লম্বা ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ। রোববার (১৯ মার্চ) বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম এ নিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছেন।
Advertisement
পরিপত্রটি সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এই পরিমাপের জাহাজ বার্থিং কর্ণফুলী নদীর জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
বন্দর জেটিতে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ বার্থিংয়ের সুযোগ তৈরি হওয়ায় এখন থেকে আরও বেশি পণ্য ও কনটেইনার নিয়ে বর্তমানের চেয়ে অপেক্ষাকৃত আরও বড় জাহাজ আনতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। নতুন নতুন অপারেটরের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়তে পারবে। আমদানি রপ্তানি পণ্য পরিবহন ব্যয়ও অপেক্ষাকৃত কমে যাবে।
ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, এখন থেকে বন্দরের মূল জেটিতে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ বার্থিং করতে পারবে। তবে জাহাজ বার্থিংয়ের ক্ষেত্রে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের ওপর নির্ভর করতে হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য নতুন আইন
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১৮৬ মিটার লম্বা এবং ৯ দশমিক ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো যেত। এরপর আরও বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা চালু করা হয়। ২০১৫ সাল থেকে সর্বোচ্চ ১৯০ মিটার লম্বা ও সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দরে ভেড়ানো যেত।
পরে চট্টগ্রাম বন্দরে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজ ভেড়ানোর উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এইচআর ওয়েলিংফোর্ডকে দিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। ওই সমীক্ষায় বন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে বড় জাহাজ ভেড়ানো যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। এরপরই ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর বন্দরের বোর্ড সদস্যদের সভায় জেটিতে ২০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশের দৈর্ঘ্য) জাহাজ ভেড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
ইকবাল হোসেন/এমএইচআর
Advertisement