জুমা সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিন অন্যান্য ইবাদতেও রয়েছে বেশি সওয়াব। জুমার নামাজ প্রতিটি মুসলমানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম জুমা আদায় করেন। অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেক সময় জুমার ক্ষেত্রে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়ে যায়। সে ভুলগুলো থেকে সতর্ক থাকতে হবে। কী সেসব ভুল-ত্রুটি?
Advertisement
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না হয়ে জুমার নামাজে যাওয়াপরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আর জুমায় যেতে পরিচ্ছন্ন হওয়া আবশ্যিক। সে ক্ষেত্রে গোসল করে নেওয়া উত্তম। হাদিসে পাকে এসেছে-হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। পাশাপাশি মিসওয়াক করা চাই এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করা উচিত।’ (বুখারি ৮৮০, মুসলিম ৮৪৬)
২. জুমার দিন মসজিদে যেতে দেরি করাজুমার আজানের পর একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অন্য কাজ নিষিদ্ধ। তাড়াতাড়ি মসজিদে চলে যাওয়া জরুরি। আগে আগে মসজিদে যাওয়ার ফজিলত অনেক বেশি। হাদিসে পাকে এসেছে-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (সহবাস পরবর্তীকালে) গোসলের মতো গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে, সে যেন একটি উট কোরবানি করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে, সে যেন একটি গাভী কোরবানি করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে, সে যেন একটি শিং-বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করল। চতুর্থ পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করলো, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করল। (বুখারি ৮৮১)
৩. মনোযোগ দিয়ে খুতবা না শোনাজুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ খুতবা শোনা। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ না শোনা যায়, তাহলে নীরব থাকা-ই হাদিসের নির্দেশনা-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করার পর জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ সহকারে খুতবাহ শুনল, তার পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরও অতিরিক্ত তিন দিনের পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি (অহেতুক) কঙ্কর স্পর্শ করল সে অনর্থক, বাতিল, ঘৃণিত ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করল। (মুসলিম ১৮৭৩)
Advertisement
৪. জুমার খুতবার সময় কথা বলাখুতবা শোনা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার সময় কথা বলতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জুমার দিন যখন তোমার পাশের মুসল্লিকে চুপ থাকো বলবে, অথচ ইমাম খুতবা দিচ্ছেন, তা হলে তুমি একটি অনর্থক কথা বললে।’ (বুখারি ৯৩৪, মুসলিম ৮৫১)
এমএমএস/এমএস
Advertisement