‘জলবায়ু অর্থায়ন’র সংজ্ঞা চূড়ান্ত করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা ও জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করতে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য কপ২৮ সম্মেলনে কিছু জটিল বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন, আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আল হামুদি এবং আরব রিপাবলিক অব মিশরের চার্জ ডি'অ্যাফিয়ার্স মিনা মাকারি বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য তহবিলের উৎস অবশ্যই কপ২৮-এ চূড়ান্ত করতে হবে। এই ক্ষয়ক্ষতির তহবিলগুলো অভিযোজন প্রয়োজনের জন্য অন্যান্য তহবিলের সঙ্গে কোনো আপস না করে নতুন এবং অতিরিক্ত হওয়া উচিত। তহবিলের কাঠামো এবং পরিচালনার পদ্ধতিতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হওয়া দরকার, যেন এটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্যকর করা যায়।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিএইচজি নির্গমন ৪৩ শতাংশ কমাতে ‘মিটিগেশন ওয়ার্ক প্রোগ্রাম’-এ দলগুলোর ঐক্যমত পোষণ করতে হবে। কপ২৯-এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এনসিকিউজি-তে কপ২৮-এ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকতে হবে। আমাদের জলবায়ু অর্থায়নের সংজ্ঞা চূড়ান্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, এনসিকিউজি গৃহীত হওয়ার আগে আমরা উন্নত দেশগুলোর দ্বারা ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জনের জন্যও উন্মুখ। ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্য অর্জন না করে একটি নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা দলগুলোর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না।

মন্ত্রী চলতি মাসে কোপেনহেগেন জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করায় ডেনমার্ক সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন বলেন, শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবেই নয়, সফলভাবে এ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম।

বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী আব্দুল্লা খাসেইফ আলহমুদী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য কপ২৮-এ লস অ্যান্ড ড্যামেজসহ অন্য এজেন্ডাগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।

এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/এমকেআর