কোরআন-সুন্নায় আল্লাহর কাছে দোজখের শাস্তি থেকে বেঁচে থাকার দোয়া ও আমল উল্লেখ করা হয়েছে। যে দোয়ার নিয়মিত আমলে দোজখের শাস্তি থেকে মুক্তি মিলবে। হাদিসে এসেছে-
Advertisement
হজরত আল-হারিস ইবনু মুসলিম আত্-তামীমী রাদিয়াল্লাহু আনহু তার পিতার সূত্র বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে চুপে চুপে বলেন, ‘যখন তুমি মাগরিবের নামাজ থেকে অবসর হয়ে সাতবার বলবে-
اللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা আঝিরনি মিনান নার।’
Advertisement
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।’
তুমি তা বলার পর ওই রাতে মারা গেলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে। আর যখন তুমি ফাজরের নামাজ শেষ করবে তখনও অনুরূপ বলবে। অতঃপর তুমি যদি ওই দিন মারা যাও তাহলে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তি লেখা হবে।’ (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ, ইবনে হিব্বান)
দোজখের শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য কোরআনে নির্দেশিত দোয়াও পড়া-
رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بٰطِلًا سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ - رَبَّنَآ إِنَّكَ مَن تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُۥ ۖ وَمَا لِلظّٰلِمِينَ مِنْ أَنصَارٍ
Advertisement
উচ্চারণ: ‘রাব্বানা মা খালাকতা হাজা বাত্বিলান সুবহানাকা ফা-কিনা আজাবন নার। রাব্বানা ইন্নাকা মাং তুদখিলিন নারা ফা-কাদ আখযাইতাহু ওয়া মা লিজ-জ্বালিমিনা মিন আংছার।’
অর্থ: ‘হে আমাদের রব! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করোনি। সব পবিত্রতা তোমারই; আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি থেকে বাঁচাও। হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই তুমি যাকে দোজখে নিক্ষেপ করলে তাকে সবসময় অপমানিত করলে; আর জালেমদের জন্যে তো সাহায্যকারী নেই।' (সুরা আল ইমরান : আয়াত ১৯১-১৯২)
এমএমএস/জিকেএস