গত দেড় মাসে ফিলিস্তিনে ধারাবাহিক সামরিক অভিযান ও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন নিয়ে ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক দেখা দিয়েছে। এরই জেরে ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। সম্প্রতি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২’র এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন>> সৌদি-ইরান পুনর্মিলনে অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে চ্যানেল ১২’র প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইসরায়েল সরকারের কর্মকাণ্ড আমিরাতকে ক্ষুব্ধ করেছে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন গাভির নির্দেশে আল-আকসা মসজিদে হামলা, ফিলিস্তিনের হুওয়ারা শহরের বাসিন্দাদের ওপর ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা, গ্রামটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচের আহ্বারে ক্ষুব্ধ হয়েছে আমিরাত।
জানা যায়, সম্প্রতি আমিরাতে সফর স্থগিত করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এরপরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত বাতিলের কথা জানায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। যদিও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমিরাতের এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। একে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে জেরুজালেমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গঠনমূলক কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ
তবে আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত আমরা একসঙ্গে কাজ করবো না। তবে দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, নেতানিয়াহুর আমিরাত সফরের পরিবর্তী তারিখ এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এরই মধ্যে চলতি সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
আরও পড়ুন>> ইসরায়েলের বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতায় ‘বিরক্ত’ যুক্তরাষ্ট্র
Advertisement
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
এসএএইচ