ভারতের অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি মূল্য দিয়ে বিতর্কিত আদানির কোম্পানি থেকে আমাদের বিদ্যুৎ কিনতে হচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভারতের আদানির সঙ্গে সরকারের বিতর্কিত বিদ্যুৎ চুক্তি বাস্তবায়নের পথে। এরই মধ্যে তারা ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এনেছে। এই ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার মধ্য দিয়ে চুক্তিকে বৈধ করেছে।
Advertisement
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের ভবিষ্যৎ কী?
গয়েশ্বর বলেন, এরই মধ্যে ৬৯ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে থেকে পাচার হয়ে গেছে। অথচ টাকার অভাবে ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছে না। লোক দেখানো মেগা প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে সরকারদলীয় লোকজন। প্রকাশ্যে কোটি কোটি টাকা ছিনতাই হচ্ছে, পুলিশ এগুলো উদ্ধার করতে না পারলেও বিএনপি নেতাদের বিনাদোষে রাতের আঁধারে ঠিকই গ্রেপ্তার করছে।
Advertisement
আরও পড়ুন: গৌতম আদানি ও ভারতের নয়া পুঁজিবাদ
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। জনগণের ভোটের অধিকার, বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ এতটাই দুর্বল যে তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই ভয় পায়। তাই তারা শান্তি সমাবেশের নামে রাজপথে জনতাকে ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু কোনো লাভ নেই। জনগণের ভয় ভেঙে গেছে। এ সরকারের পতন এখন অনিবার্য।
সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এমআরএম/জেআইএম
Advertisement