নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের তারিখ গণনায় খুব বেশি মনোযোগ দিতেন। যা অন্য কোনো মাসে তিনি করেননি। রমজান মাসের রোজা পালনের গুরুত্ব দিতেই তিনি এমনটি করতেন। কেননা রমজানের চাঁদ দেখেই রোজা পালন শুরু হয়। কিন্তু রমজানের চাঁদ দেখা না গেলে কী করবেন? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী করতেন?
Advertisement
কোনো কারণে শাবান মাসের ২৯ তারিখ রমজানের চাঁদ দেখা না গেলে কিংবা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাস ৩০দিন পূর্ণ করতে হবে। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু আবু কায়িস রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছি-
يَتَحَفَّظُ مِنْ شَعْبَانَ مَا لَا يَتَحَفَّظُ مِنْ غَيْرِهِ، ثُمَّ يَصُومُ لِرُؤْيَةِ رَمَضَانَ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْهِ عَدَّ ثَلَاثِينَ يَوْمًا ثُمَّ صَامَ
Advertisement
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান মাসের (চাঁদের) হিসাব এতো গুরুত্ব সহকারে রাখতেন যে, অন্য কোনো মাসের হিসাব ততোটা গুরুত্ব দিয়ে রাখতেন না। এরপর তিনি রমাজানের চাঁদ দেখেই রোজা পালন করতেন। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তিনি শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর রোজা রাখতেন।’ (আবু দাউদ ২৩২৫)
তাই গুরুত্বের সঙ্গে শাবান মাসের হিসাব রাখতে হবে। শাবান মাসের ২৯ তারিখ রমজানের চাঁদ অনুসন্ধান করতে হবে। চাঁদ দেখা না গেলে কিংবা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাস ৩০দিন পূর্ণ করেই রমজানের রোজা রাখা শুরু করতে হবে।
এমএমএস/এএসএম
Advertisement