দেশজুড়ে

টঙ্গী থেকে কড্ডায় তুরাগ দূষণের ৯৬ উৎস চিহ্নিত

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের যৌথ উদ্যোগে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে কড্ডা পর্যন্ত টঙ্গী খাল ও তুরাগ নদ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) পরিব্রাজক দলটি আরিচপুর, মাছিমপুর, টঙ্গী বাজার, কামারপাড়া, রুস্তমপুর, ইছরকান্দি, কাশিমপুর হয়ে কড্ডা বাজারে গিয়ে এ পর্যবেক্ষণ শেষ করে। পর্যবেক্ষণের পুরো পথটিতে নদীর পানি ছিল কয়লার মতো কালো।

পর্যবেক্ষণ শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন জানান, এ পর্যবেক্ষণে তারা মোট ৯৬টি দূষণ উৎস চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তার মধ্যে শিল্প কারখানার ১৭টি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আটটি, খামারের ১২টি, হাটবাজারের ছয়টি, সংযুক্ত নদী-খাল তিনটি, বসতবাড়ি ও অন্যান্য ৫০টি।

এছাড়া টঙ্গী খালে রেল ব্রিজের নির্মাণকাজের জন্য মাটি ফেলে সংকুচিত করে পানির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। একই কাজ করা হয়েছে বিআরটি ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রেও।

Advertisement

পর্যবেক্ষণ টিমে থাকা অন্যরা হলেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন রাজিব, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী আমিনুল ইসলাম, নদীকর্মী মনির হোসেন সরকার, রবিউল ইসলাম শান্ত, নজরুল করিম রনি, আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আজকের পরিদর্শনে যা দেখলাম তাতে তুরাগের শেষকৃত্য হয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সব বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

এমআরআর/এমএস

Advertisement