নতুন করে ক্যারিয়ার শুরু করা তৌহিদ হৃদয়, তানভীর ইসলাম এবং ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার; সবাই পারফর্ম করেছেন। দলের সাফল্যে কমবেশি অবদান রেখেছেন। বলা হচ্ছে, সাকিবের নেতৃত্বে তরুণরা সুযোগ পাওয়াতেই বদলে গেছে টি-টোয়েন্টি দল। সত্যিই কি তাই? কী ভাবছেন সাকিব? টাইগার অধিনায়কও কি তেমনটা মনে করেন? না, সাকিব তা মনে করেন না। সাকিবের মূল্যায়ন, এশিয়া কাপ থেকেই বাংলাদেশ দলে একটা পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। তার কথা, ‘এশিয়া কাপ থেকে বোধ হয় অধিনায়কত্ব শুরু হয়েছে আমার। আমরা হয়তো সেখানে ম্যাচ জিতিনি, কিন্তু খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছি।’
Advertisement
সাকিবের দাবি, এশিয়া কাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই দুর্ভাগা যে সেমিফাইনাল খেলতে পারিনি। একটা ম্যাচ বেশি জিতলেই সেমিতে খেলতে পারতাম, ওই সুযোগ আমাদের ছিল।’ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অনুভব, বিশ্বকাপ থেকেই দলের ভেতরে সাহস সঞ্চার হয়েছে, ‘আমার মনে হয় পুরো দলেরই বিশ্বকাপ থেকে এই আত্মবিশ্বাস জন্মেছে যে আমরা বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে অনেক ডাউট (সন্দেহ) ছিল, কিন্তু বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স আমাদের বিশ্বাস দিয়েছে বড় দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।’ এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি বিশেষ কারণে আলাদা আত্মবিশ্বাস ছিল অধিনায়ক সাকিবের। ইংলিশ স্কোয়াডে নামজাদা ব্যাটারের কমতি ছিল এবার। তিন থেকে চারজনের বাইরে সে অর্থে বিশ্বমানের কেউ ছিলেন না। সেই ঘাটতির জায়গাটা কাজে লাগানোর চিন্তা ছিল মাথায়। তা প্রকাশ পেল এ মন্তব্যে, ‘আমরা জানতাম ইংল্যান্ডের ব্যাটার কিছু কমতি ছিল। যে জায়গাতে আমাদের ক্যাপিটালাইজ করার সুযোগ ছিল, করতে পেরেছি। যখন ওদের তিন-চার উইকেট পড়ে গেছে, সেটা আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ ছিল।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম
Advertisement