আন্তর্জাতিক

ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাত, মোজাম্বিক ও মালাউইয়ে মৃত্যু বেড়ে ১১০

দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক ও মালাউইয়ে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি প্রবলভাবে আঘাত হেনেছে। এখন পর্যন্ত দেশ দুটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ জনে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড বহু এলাকা, বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি এবং উপড়ে গেছে গাছপালা। বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

Advertisement

ফ্রেডি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা অতিক্রম করে। এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে প্রথমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি।

ঘূর্ণিঝড়ে মালাউই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাতারাতি মাটি ধসে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৯৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরও ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। ঘূণিঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ রয়েছেন ১৬ জন। মালাউইয়ের বাণিজ্যিক রাজধানী ব্ল্যান্টাইরেই মারা গেছেন ৮৫ জন।

আরও পড়ুন> মোজাম্বিকে দ্বিতীয় দফায় ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাত, ১ জনের মৃত্যু

Advertisement

সোমবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কমিশনার চার্লস কালেম্বা বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রতিবেশী দেশ মোজাম্বিকে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটিতে আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন।

জাতিসংঘের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ফ্রেডি ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে উৎপত্তি হয়। এটি রেকর্ডে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় বলে মনে করা হয়। সমগ্র দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে এই ঝড়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মোজাম্বিকে পৌঁছানোর আগে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মাদাগাস্কারে তাণ্ডব চালায় এই ঝড়।

সমগ্র দক্ষিণ ভারত মহাসাগর অতিক্রমকারী সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় ছিল ২০০০ সালে, লিওন-এলাইন এবং হুদাহ।

Advertisement

জাতিসংঘ বলছে, ঝড়ে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মালাউইয়ে আরও দুর্দশা ডেকে এনেছে। দেশটি তার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ কলেরার প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে লড়াই করছে। গত বছর থেকে ১ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে কলেরায়।

প্রেসিডেন্ট লাজারাস চাকভেরা ‘দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজ্যকে দুর্যোগের রাজ্য’ ঘোষণা করেছেন।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে প্রায় ৩৪ দিন ধরে ঘোরাফেরা করেছে। এর আগে ঝড়ের রেকর্ড পরিমাণ স্থায়ীত্ব ছিল ১৯৯৪ সালে।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএনআর/জেআইএম