জাতীয়

এলডিসি থেকে বের হলে সমস্যার সম্মুখীন হবে ওষুধ খাত: পাপন

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে যাওয়ার পর দেশের ওষুধ খাত নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছেন দেশের বৃহত্তম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন।

Advertisement

তিনি বলেছেন, করোনার সময় আক্রান্তদের মুখে খাওয়ানোর জন্য ‘মলনুপিরাভির’ নামে এক রকমের ক্যাপসুল বাজারে আনা হয়। এ ধরনের অনেক ওষুধ বেক্সিমকো দেশের বাজারে বিক্রিসহ এলডিসির (স্বল্পোন্নত দেশ) তালিকাভুক্ত দেশগুলোতে রপ্তানি করে। এলডিসি থাকা অবস্থায় আমরা এ ধরনের ওষুধ তৈরির (ম্যানুফ্যাকচার) অনুমোদন পেয়েছি। কিন্তু যখন বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছে যাবে তখন এ সুবিধা পাওয়া যাবে না।

সোমবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ অনুষ্ঠানের এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এলডিসি তালিকাভুক্ত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ বের হওয়ার পর ফার্মাসিটিক্যাল খাতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে। এলডিসিতে চলে গেলে অনেক ধরনের ওষুধ ম্যানুফ্যাকচার করা যাবে না। এছাড়া এসব ওষুধ আমদানি করলে দাম বেড়ে যাবে, যা সাধারণ জনগণের সমস্যা হবে।

Advertisement

চাহিদার ৮০ শতাংশ ওষুধ দেশে তৈরি করা হয় জানিয়ে পাপন বলেন, সবচেয়ে কম খরচ করে মানসম্মত ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বের ১৫০ টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে ওষুধ রপ্তানি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, এ সময় ওষুধ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ দরকার হবে। এতে এ শিল্পকে বিকশিত করা সম্ভব হবে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এদেশে দুইভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। তারা ম্যানুফ্যাকচারিং আন্ডার লাইসেন্স এবং সরাসরি বিনিয়োগ করে বাংলাদেশে ওষুধ তৈরির মাধ্যমে খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব। ফলে এসব কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একটা ভালো যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।’

বেক্সিমকোর এমডি বলেন, আরএনডির (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সুবিধার কারণে বাংলাদেশ ভালোমানের ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম। এটা আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ম্যানুফ্যাকচার খরচ কম হওয়া সত্ত্বেও ওষুধের মান ভালো। এছাড়া বাংলাদেশে গ্যাস থাকার কারণে ওষুধ উৎপাদনে ভারতের তিন ভাগের একভাগ খরচ হয়।

এসএম/এমএএইচ/জিকেএস

Advertisement