অর্থনীতি

আধুনিক শুল্ক পদ্ধতি গড়ে তুলতে ব্যয় ১৬৮৬ কোটি

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বেনাপোল স্থল বন্দরসমূহের ব্যয়-সাশ্রয়ী, অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই এবং সহনশীল বাণিজ্যিক অবকাঠামোর উন্নয়ন; আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও সর্বোত্তম ব্যবহারবিধি মোতাবেক আধুনিক শুল্ক পদ্ধতি গড়ে তোলা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা ব্যয় করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। জানুয়ারি ২০২৩ হতে ডিসেম্বর ২০২৬ নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

Advertisement

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকল্প এলাকা: ঢাকা জেলার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম জেলার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও যশোর জেলার শার্শা উপজেলা এবং সমগ্র দেশের কাস্টমস হাউজের কারিগরি সহায়তা প্রদান।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য: প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্যিক ব্যয় হ্রাসকরণ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণমূলক শুল্ক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে বাণিজ্য নীতি বাস্তবায়নে সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংগঠনিক কাঠামোর উন্নয়ন এবং শুল্ক বিভাগের মানবসম্পদ, আর্থিক এবং অবকাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে সব পর্যায়ে শুল্ক প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং যথাযথ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে কাস্টমস পরিষেবার কার্যকারিতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।

Advertisement

প্রধান কার্যক্রম: ৯ লাখ ৮ হাজার ১৫০ বর্গফুট চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ ভবন নির্মাণ, ৫ লাখ ৩২ হাজার ৮৮ বর্গফুট চট্টগ্রাম কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশিক্ষণ একাডেমি ভবন নির্মাণ, ২ লাখ ৮ হাজার বর্গফুট চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের আবাসিক ভবনাদি নির্মাণ করা হবে। ৯৪ হাজার ৪০০ বর্গফুট চট্টগ্রাম কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশিক্ষণ একাডেমির আবাসিক ভবনাদি নির্মাণ, ১ হাজার ৬০২টি ল্যাবরেটরি ইক্যুইপমেন্ট (ভ্যাট ও কাস্টমস) কেনা হবে। ৪১৩ জনমাস পরামর্শক (সেবা), ৭ হাজার ৬৫০ জন অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ এবং ৪টি গাড়ি ভাড়া এবং অন্যান্য কাজ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশন জানায়, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সরকার রাজস্ব আয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আয় ছিল জিডিপির ৯ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা হল জিডিপির ১৪ দশমিক ০৬ শতাংশ। শক্তিশালী এবং গতিশীল কর/কাস্টম প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করতে পারলে এটি অর্জন করা সম্ভব হবে। উন্নত শুল্ক অবকাঠামো এবং প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য সহজীকরণ ব্যবস্থা রপ্তানি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসার জন্য বাংলাদেশকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কিছু নিয়ম বিশেষ করে শুল্ক সংরক্ষণ ও প্যারা-শুল্ক সংক্রান্ত বিধি মেনে চলতে হবে যেগুলো এতদিন শিথিল ছিল। ভবিষ্যতে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও কঠোর বিধি সম্পন্ন বৈশ্বিক বাণিজ্যিক পরিবেশের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ও তা মেনে চলার জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে হবে। বহুপাক্ষিক নিয়মকানুন মেনে চলার পাশাপাশি উন্নত শুল্ক অবকাঠামো ও প্রশাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে রপ্তানিমুখী।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট ট্রেনিং একাডেমি, চট্টগ্রাম এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত এবং নেপালের মধ্যে আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Advertisement

এমওএস/ইএ/জিকেএস