বিনিয়োগের জন্য নয়, বাংলাদেশের সক্ষমতা তুলে ধরতেই আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিটের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
Advertisement
তবে সামিটে দেশের সক্ষমতা সৌদি মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরতেই তারা বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে। এরই মধ্যে চারটি চুক্তি সইও সম্পন্ন হয়েছে বিজনেস সামিটে।
সোমবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিট নিয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বিজনেস সামিট দেশে নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করবে
Advertisement
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ এটা। আমরা বিশ্বের সামনে আমাদের দেশকে নতুনভাবে তুলে ধরেছি। এর আগে আমাদের ১০০ ইকোনমিক জোন ছিল না, ২৮টি হাইটেক পার্ক ছিল না। এখন আমাদের এগুলো আছে। বিনিয়োগের পরিবেশ আছে। পদ্মাসেতুর কারণে জিডিপি বেড়েছে, আরও অনেক মেগা প্রকল্প চালুর অপেক্ষায়।
তিনি বলেন, মোটরসাইকেল শিল্পে আমরা সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি। দেশীয় কোম্পানিগুলো এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়েছে অনেক। হুন্দাই আমাদের দেশে এসেছে। এ শিল্পে অন্যরাও আসতে পারে, এটা সম্ভাবনাময় খাত। বিজনেস সামিটে আমরা তুলে ধরেছি পোশাকখাতকে, ওষুধ শিল্পকে। বিদেশি ডেলিগেটরা আমাদের প্রশংসা করেছেন, দেশীয় অনেক পণ্য যেগুলো রপ্তানি হয় সেগুলো দেখে সাধুবাদ জানিয়েছে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সামিটের সেশনে আমরা আমাদের সক্ষমতা যখন তুলে ধরছিলাম তখন সৌদি ৫৬ সদস্যের ডেলিগেট আমাদের প্রশংসা করেন। তাদের সামনে ইকোনমিক জোনগুলোকে তুলে ধরেছিলাম যে, সেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। সাথে সাথে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিজনেস সামিট: ইলেকট্রিক বাইক খাতে বিনিয়োগের আহ্বান তিনি বলেন, আমরা ও সৌদি আরব মিলে চেম্বার হবে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এর অগ্রগতি জানাবে উভয় দেশ। তাদের সাথে আমাদের চারটি এমওইউ সাক্ষর হয়েছে এবারের সামিটে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগার মিল করা, বিদ্যুতে বিনিয়োগ, খুলনায় সার কারখানা ও শিক্ষা বিষয়ে চুক্তি সই হয়েছে।
Advertisement
এর আগে গত শনিবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামিটে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৭টি দেশের ২০০টিরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সামিটের আয়োজন করে এফবিসিসিআই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ সাশ্রয়ী ও নিরাপদ, বিজনেস সামিটে বিশিষ্টজনরা
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে এফবিসিসিআই’র অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে তিনটি প্লেনারি সেশন, ১৪টি প্যারালাল সেশন, বিজনেস টু বিজনেস মিট, নেটওয়ার্কিং সেশন, একটি ওপেন হাউস রিসেপশন এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের জন্য গাইডেড ট্যুর ছিল এ সামিটে।
ইএআর/এমআরএম