ভূমিকম্পে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত ৪২টি সরকারি ভবন ভাঙতে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব ভবন না ভাঙলে রাজউক নিজ উদ্যোগে ভাঙবে বলে চিঠিতে জানিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ভাঙা বাবদ খরচ আদায় করা হবে।
Advertisement
রোববার (১২ মার্চ) ঝুঁকিপূর্ণ এসব ভবন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে রাজউক।
আরও পড়ুন: অবৈধ ভবন বৈধ করার সুপারিশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ
অতি ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি ভবনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের একটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি।
Advertisement
এছাড়াও ১৮৭টি ভবনকে রেট্রোফিটিং (মজবুতিকরণ) করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেসব ভবনের মধ্যে ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের চারটি, মাদরাসা বোর্ডের ছয়টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাণ-ছাড়পত্র অনুমোদন সংশোধনের আবেদন শেষ
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা জাগো নিউজকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ভবনগুলো আগেই আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ২২৯টি ভবনের তালিকা করেছি। এরমধ্যে ১৮৭টি রেট্রোফিটিং করতে হবে আর ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হবে। আমরা তিন হাজারের বেশি ভবন যাচাই করেছি। এরমধ্যে ২২৯টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। এগুলো সব সরকারি বিল্ডিং। এগুলোর মধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল রয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে সরকারি ও স্বায়ত্তশায়িত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ভূমিকম্প সহনশীলতা প্রকল্পের (আরবান রেজিলিয়েন্স) আওতায় দুই হাজার ৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি অন্যান্য ভবনের ওপর জরিপ চালানো হয়।
Advertisement
আরও পড়ুন: বিধিমালা মেনে ভবন নির্মাণের আহ্বান প্রকৌশলীদের
এসব ভবনের মধ্যে ৫৭৯টির প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) রিপোর্টে ৪২টি ভবন অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম