পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ব্যবহার উপযোগী করতে পাঁচটি সুপারিশ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কারিগরি কমিটি।
Advertisement
সোমবার (১৩ মার্চ) রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞার কাছে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তারা। পরে কারিগরি কমিটির আহ্বায়ক ও রাজউকের সদস্য মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ব্যবহারে ‘ডিটেইলড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ করতে হবে। সে অনুযায়ী মজবুতকরণ (রেক্টোফিটিং) করতে হবে। এরপর ভবনটি ব্যবহার করা যাবে। অন্যথায় ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না।
রাজউক সূত্র জানায়, কারিগরি কমিটির এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ভবনমালিককে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে ভবনটির ‘ডিটেইলড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ করতে হবে। এ অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে জানা যাবে ভবনটি ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর কী উপায়ে সেটিকে ব্যবহার উপযোগী করা যাবে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> তিন দিন পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নথি পায়নি রাজউক
পরে ‘ডিটেইলড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ অনুযায়ী ভবনটিকে মজবুতকরণ (রেক্টোফিটিং) করতে হবে। এজন্য ভবনটির মালিকপক্ষ তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করবে। আর এ কাজের জন্য ১৮০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে কারিগরি কমিটি। কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘ডিটেইলড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট’ ও মজবুতকরণ ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না।
ভবনটি ব্যবহারের জন্য কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মজবুতকরণের কাজ শেষ করে বিশেষজ্ঞ তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছ থেকে মজবুতকরণ সংক্রান্ত সনদ নিতে হবে। এ সনদ নেওয়ার পরই ভবনটি ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া কমিটির সুপারিশে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ভবনের সামনের ফুটপাত থেকে ২৬ ফুট পর্যন্ত রাস্তা ‘কর্ডন’ করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন>> গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: মিললো আরও একজনের মরদেহ
Advertisement
গত মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে সিদ্দিকবাজারে একটি সাততলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ব্যবহার করা যাবে কি না জানতে মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত অথরাইজড অফিসার রংগন মণ্ডলকে সদস্যসচিব করে ছয় সদস্যের একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে রাজউক। এ কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী ও রাকিব আহসানও আছেন।
এমএমএ/ইএ/এমএস