ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে দুই দল যেভাবে ব্যাটিং করছিলো, সেটা দেখেই সবার মনে হয়েছিলো এই টেস্টে ফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। নিষ্প্রাণ ড্র’ই হবে হয়তো। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। আহমেদাবাদের মোতেরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজের শেষ টেস্টটি শেষ হলো অমিমাংসিতভাবেই।
Advertisement
শেষ টেস্টটি ড্র হওয়ার ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো ভারতই। প্রথম দুটি টেস্ট জয় করেছিলো ভারত। ইন্দোরে তৃতীয় টেস্টে স্বাগতিকদের হারিয়ে দেয় স্টিভেন স্মিথের দল। শেষ টেস্টে এসে অস্ট্রেলিয়া যেমন দৃঢ়তা দেখালো, তেমনি লড়াই করেছে ভারতও।
২০১৯ সালের পর টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন বিরাট কোহলি। তার ১৮৬ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ভারতও চড়ে বসে রানের পাহাড়ে। ৫৭১ রান করে অলআউট হয় তারা।
৯১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। অর্থ্যাৎ জয়ের জন্য ভারতের সামনে কেবল ৮৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন স্মিথ।
Advertisement
কিন্তু দিনের তখন বাকি মাত্র ১০ মিনিট। যার ফলে আম্পায়াররা দুই অধিনায়ককে ডাকেন। সময়ের বিষয়টা তাদের সামনে তুলে ধরার পর দুই অধিনায়কই হ্যান্ডশে করে ড্র মেনে নেন।
টস জিতে আহমেদাবাদে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন তারা। বিশেষ করে ওপেনার উসমান খাজা ১৮০ রানের বিশাল ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরকে বড় করার ইঙ্গিত দেন। মিডল অর্ডারে সেঞ্চুরি করেন ক্যামেরন গ্রিনও। তিনি ১১৪ রান করে আউট হন।
শেষ পর্যন্ত ৪৮০ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ভারতীয় বোলার রবিচন্দ্রন অশ্বিন নেন ৬ উইকেট। ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।
জবাব দিতে নেমে ভারতও পাল্টা ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখায়। সেঞ্চুরি করেন শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি। গিল করেন ১২৮ রান এবং কোহলি করেন ১৮৬ রান। অক্ষর প্যাটেল করেন ৭৯ রান। শেষ পর্যন্ত ৫৭১ রানে থামে ভারত।
Advertisement
৯১ রানের লিড নেয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ম্যাথিউ কুনেম্যান ৬ রান করে আউট হলেও ট্রাভিস হেড এবং মার্নাস ল্যাবুশেন মিলে দারুণ ব্যাটিং করেন। হেড ৯০ রান করে আউট হন। ল্যাবুশেন অপরাজিত থাকেন ৬৩ রানে। ২ উইকেটে ১৭৫ হওয়ার পরই ইনিংস ঘোষণা করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
আইএইচএস/