একমাস পর ক্লাসে ফিরলেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নির্যাতনের শিকার ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে বিভাগের ক্লাসে অংশ নেন তিনি।
Advertisement
এসময় ফুলপরী খাতুন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন পূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কিছু মানুষ। এজন্য মানসিকভাবে কিছুটা হতাশ ছিলাম। এখন নিজের ক্যাম্পাসে ক্লাসে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’
বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ার হাসান বলেন, ‘মেয়েটি আজ ক্লাস করেছে। আমি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন।’
এর আগে হল পরিবর্তন করে রোববার (১২ মার্চ) নতুন হলে ওঠেন ফুলপরী খাতুন। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ওঠেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে বাবা ছিলেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: বাবার দোয়া নিয়ে হলে উঠলেন ফুলপরী
গত ৫ মার্চ হাইকোর্টের নির্দেশে ফুলপরীকে তার পছন্দমতো বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আসন বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। এরআগে তিনি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সংযুক্ত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
পরে এ ঘটনায় গত ৪ মার্চ অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান।
Advertisement
এরমধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। এছাড়া নির্যাতনের ঘটনায় ওই পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
রুমি নোমান/এসআর/এএসএম