প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বলেছেন, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও চাচ্ছি যে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক।
Advertisement
রোববার (১২ মার্চ) অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এ কথা জানান তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, হাইকমিশনার স্পষ্ট করে বলেছেন, উনারা আশা করেন যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং ফ্রুটফুল হবে। এটা উনাদের প্রত্যাশা।
‘আমরাও আমাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছি। আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরাও চাচ্ছি যে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। আমাদের দায়িত্বের মধ্যে উনারা জানতে চেয়েছেন আমরা দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করতে পারি কি না। আমরা বলেছি, সেটি আমাদের দায়িত্বের পরিধিভুক্ত নয়। তবে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বারবার বলে যাচ্ছি যে নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই এটির গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি হবে। আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করবো যে নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়।’
Advertisement
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া
তিনি বলেন, আমরা সবাইকে আবেদন করবো যে আপনারা আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। দেখুন যে নির্বাচনটা কেমন হয়। যদি সব দল অংশগ্রহণ করে আমরা নিশ্চিত নির্বাচনের ফলাফলটা অনেক বেশি ভালো, অনেক বেশি ইতিবাচক এবং জনগণের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অংশগ্রহণের বিষয়ে আমরা কোনো উদ্যোগ নেবো না। এটি রাজনৈতিক ইস্যু। কোনো সংকট যদি থেকে থাকে, তারা আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবেন। আমরা ব্রোকারি করবো না, করতে পারবো না। কিন্তু আমরা ওপেনলি আহ্বান করে যাবো, আমাদের দরজা খোলা আছে।
কোনো দল যদি এসে সহযোগিতা কামনা করে, আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। আমাদের তরফ থেকে যেসব সহযোগিতা প্রদান করা দরকার, সেগুলো আমরা করে যেতে পারবো।
Advertisement
এইচএস/এমএইচআর/জিকেএস