পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি:
Advertisement
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরের বাজারগুলোতে কিছুটা কমেছে মুরগির মাংসের দাম। বসন্ত উৎসবের সময় এর দাম উঠেছিল আড়াইশ রুপির ওপরে। কিন্তু এখন তা দুইশ রুপির আশপাশে নেমে এসেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কলকাতা ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে মুরগির মাংস (নাড়িভুড়ি বাদে) বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২১০ রুপিতে। অথচ কয়েক সপ্তাহ আগেও এসব এলাকায় মুরগি মাংসের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১৪০ রুপি।
পশ্চিমবঙ্গের মুরগির খামারগুলোতে গত কয়েক সপ্তাহে বিশেষ কোনো প্রভাব পড়েনি। এ মাসে বিয়ের মৌসুম ছাড়া আর তেমন কোনো উৎসবও নেই। তবু কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলে বাজারগুলোতে চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস।
Advertisement
আরও পড়ুন>> খাদ্য তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে ডিম-মুরগি
পশ্চিমবঙ্গের পোল্ট্রি ফেডারেশন দাবি, এক কেজির ওপরে জ্যান্ত মুরগির পাইকারি যে দর, তাতে মাংসের দাম কেজিপ্রতি ১৫০ থেকে ১৭০ রুপির বেশি হওয়ার কথা নয়। এ কারণে মুরগির মাংসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।
পোল্ট্রি ফার্মের মালিক বাপি দে’র দাবি, কলকাতার বাজারে চাহিদা মেটানোর মতো যথেষ্ট মুরগি রয়েছে খামারগুলোতে। তবে বিয়ের মৌসুমের জন্য দাম হয়তো কিছুটা বেশি। এটি চলে গেলে দাম হয়তো কিছুটা কমবে।
আরও পড়ুন>> ৩০০ ছাড়ালো পাকিস্তানি মুরগি
Advertisement
অন্যদিকে, রমজান মাস সামনে রেখে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চলের কিছু কিছু বাজারে গরুর মাংসের দাম সামান্য বেড়েছে।
কিছু দিন আগেও এসব বাজারে হাড় ছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। আর হারসহ প্রতি কেজি মাংসের দাম ছিল ২১০ থেকে ২৩০ রুপি।তবে রোজার মাসের আগে বাজারগুলোতে এখন হাড় ছাড়া গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ রুপিতে। আর হারসহ প্রতি কেজি মাংসের দাম ২৭০ রুপি।
এসব এলাকায় গরুর মাংসের তুলনায় খাসি বা পাঠার মাংসের দাম প্রায় দ্বিগুণ। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খাসি বা পাঠার মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ রুপিতে।
আরও পড়ুন>> নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাজার ‘অস্বস্তির’
তবে অঞ্চলভেদে দাম বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। শহরের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চলগুলোতে মাংসের দাম কিছুটা কম।
কেএএ/