ক্যাম্পাস

‘পুলিশের গুলিতে’ আহত রাবির ১৫ শিক্ষার্থী, একজন আইসিইউতে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১৫ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে এক শিক্ষার্থী গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন।

Advertisement

শনিবার (১১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।

এর আগে সন্ধ্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাবি সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেন।

আরও পড়ুন: রাবির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

Advertisement

এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে এলোপাতাড়ি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৫ শিক্ষার্থীর গায়ে গুলি লাগে। গুরুতর অবস্থায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আশঙ্কাজনক একজন আইসিইউতে ভর্তি আছেন।

আরও পড়ুন: রাবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা

এদিকে গুলি করার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় সংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করেন। ফলে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১টা ২০ এ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা ছেড়ে যায়নি।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামের একটি বাসে রাজশাহী যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে চালক শরিফুল ও তার সহযোগী রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিনোদপুর বাজারে বাস থেকে নামার সময় তাদের আবারও কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বিনোদপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বাসচালকের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তার।

আরও পড়ুন: বিনোদপুর রণক্ষেত্র, দোকানে দোকানে অগ্নিসংযোগ

খবর পেয়ে সেখানে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এসময় ব্যবসায়ীরা তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। ধাওয়া দিয়ে তাকে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতেই বড় হয়ে যায় ঘটনাটি।

মনির হোসেন মাহিন/জেডএইচ