শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে এক গণমাধ্যমকর্মীর ক্যামেরা। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
Advertisement
কথা-কাটাকাটির জেরে শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর বাজারে ঘটনার সূত্রপাত। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন। বর্তমানে মহাসড়কের দুপাশ থেকে স্থানীয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলছে।
সংঘর্ষে রকিব ও খালিদ সাইফুল্লাহ নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাজারের প্রায় সব দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছেন। কিছু দোকানে লুটপাটও করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামের একটি বাসে রাজশাহী যাচ্ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে চালক শরিফুল ও তার সহযোগী রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই শিক্ষার্থীর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিনোদপুর বাজারে বাস থেকে নামার সময় তাদের আবারও কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বিনোদপুর বাজারের একজন ব্যবসায়ী বাসচালকের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তার।
খবর পেয়ে সেখানে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এসময় ব্যবসায়ীরা তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। ধাওয়া দিয়ে তাকে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতেই বড় হয়ে যায় ঘটনাটি।
খবর পেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল থেকে বের হয়ে বিনোদপুর গেটের পাশে অবস্থান নেন। আর ব্যবসায়ীরা অবস্থান নেন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বিনোদপুর বাজারে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে আহত হন অনেক শিক্ষার্থী। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আহত হন অন্তত ১০ জন।
Advertisement
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, বাস ভাড়াকে কেন্দ্র করে রাবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জেআইএম